সুন্দর ও স্বপ্নময় জগতের সন্ধান পেতে,
বইমেলায় তোমায় অবশ্যই হবে যেতে।
মনটাকে আলোকিত করার প্রেরণা ও সাহস যদি পেতে চাও,
দেরি না করে প্রাণের বইমেলায় চলে যাও।


বইমেলাতে যায় যে দেখা সব বয়সী পাঠক,
বইমেলাতেই বই প্রকাশে অনেক কবি স্বার্থক।
ক্রেতা দর্শনার্থীর সমাগমে থাকে দিনভর প্রাণবন্ত,
হরেক রকমের বইয়ের সংগ্রহে স্টল থাকে অফুরন্ত।


কাকতালীয়ভাবে দেখা হয়ে যায় নামীদামী লেখকের সাথে,
ভীড় ঠেলে অনেকে নেয় অটোগ্রাফ হাতে।
সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্যের বিশাল সংযোজন,
তাইতো প্রতিবছর বিশাল পরিসরে বইমেলার আয়োজন।


একাডেমির সামনে টেবিল পেতে কিছু বই নিয়ে যার শুরু,
দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে তা দেখছে বিশ্ব পুরু।
বাংলা একাডেমি চত্বর ছাড়িয়ে গড়িয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে,
তরুণ-তরুণীর পদভারে আজ তা পরিণত বাঁধভাঙা উচ্ছাসে।


স্রোতের মতো মানুষ গিয়ে বইমেলায় বই কিনে,
ভাষারপ্রতি মমত্ববোধ,ভাষা শহিদদের ঋণে।
এমন মেলা বিশ্বের বুকে কোন দেশে আর নাই,
বাঙালীদের প্রাণের মেলা,ক্ষুদ্র থেকে মহীরুহে পরিণত আজ  তাই।


নিজের জন্য কিনে বই, কিনে প্রিয়জনের জন্য,
বই মেলাতে প্রকাশ করতে পেরে বই, অনেক কবি আজ ধন্য।
নতুন লেখকের প্রথম বই বেরোনোর রুদ্বশ্বাস উত্তেজনা,
কেমন বিক্রি হবে বই,তাই নিয়ে চলে অহর্নিশ গবেষণা।


বই হলো পরম বন্ধু,যে দেয় না কখনও দুঃখ-কষ্ট,
বই কেনায় কারও হয় না ক্ষতি,হয় না কেহ নষ্ট।
বই পড়লে মন আলোকিত ও উদ্ভাসিত হয়,
সুন্দর,গভীর ও শুদ্ধতম চেতনা মনে জেগে রয়।


বই ছাড়া আর কোনটা  দিয়ে পারবে তুমি কিনতে?
একজন মানুষের স্বপ্ন,শ্রম আর আবেগ-অনূভুতিকে বুঝতে।
বই মেলা-লেখক,প্রকাশক,ক্রেতাদের এক অভিন্ন সম্মিলন,
পাঠকের দৃপ্ত পদভারে স্বার্থক এ আয়োজন।


সব লেখক-ই ভাবে বই  হবে সমাদৃত,
নানান রঙের প্রচ্ছদে বই থাকে আবৃত।
দুই মলাটের বই নিয়ে পৃথিবীর এক আশ্চর্য আয়োজন,
মনোজগৎ কে সুন্দর,সমৃদ্ধ,পরিপাটি করতে বই প্রয়োজন।
প্রয়াত চিত্তরঞ্জন সাহার হাত ধরে হয়েছিল বইমেলার সূচনা,
বাঙালী জাতির বুকে অক্ষয়,অম্লান হয়ে রবে ,তুমি যা করে গেলে রচনা।