সেই কবে ?
কোন এক আঁধার ঘেরা রাতে
শেষ জবাব ছুঁড়েছিলে তোমার স্মার্ট ফোনে
লাফাতে লাফাতে হেঁটেছিল
নদীর পাড় ধরে পাগলা হাওয়া গায়ে মেখে,
এরপর পাড়ের বাঁকটায় এসে ল্যাম্প পোস্টে কিছুক্ষণ
পিঠ এলিয়ে এগিয়ে ছিল স্কুল মাঠের পাশ দিয়ে,
পার্কের বকুল ছায়ায় খানিক বিশ্রাম নিতে নিতে
আম্র মুকুলের গন্ধে বিভোর হয়ে আবার হেঁটেছিল
শুকনো পাতার উপর দিয়ে
শিমুলের রাঙা ডালগুলি দেখতে দেখতে ,
রেস্টুরেন্টের পাশ দিয়ে মনোহরীর দোকান
এ.টি.এম. পিছনে ফেলে আঁকা বাঁকা
পথ মাঠ নদী পেরিয়ে তরঙ্গায়িত হতে হতে
সোজা এসেছিল আমার কাছে,
কর্ণকুহর বেয়ে খেয়ালী বালকের মত
দাড়িয়ে থাকা স্নায়ুতে
ধাক্কা মেরেছিল ট্রেনের আবেগে ছুঁটে,
কেঁপে ওঠে চারদিক যেমন ভূ-কম্পে তেমনই আবার
চূরমার করতে করতে করতে যেন
ছুঁটেছিল  হুদহুদ ;
বুকের স্তরে স্তরে জমেছিল ধ্বংসাবশেষ,
আজও পারিনি জঞ্জাল সরিয়ে নব সাজ দিতে;
এখনও ঘোরে ফেরে বিষাক্ত অক্সাইড হয়ে
স্নায়ুর পরতে পরতে তোমার সেই-
একটা জবাব।