মুখোশের আড়ালে একবারই দেখেছি তোমায় ...
কী জঘন্য , কী ভয়ঙ্কর ওই মুখ !!
অথচ কী রকম পাগোল দ্যাখো ,
আজও খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে
সেই তোমাকেই ।
জীবনের জটিলতম মুহূর্তে ,
একদিন তোমাকেই ডেকেছি । নিরুচ্চারে বলেছি ,
" সবকিছু ঠিক করে দাও ।
সবকিছু ঠিক করে দাও হে ঈশ্বরী । "
ভেবেছি , তুমিই একমাত্র । তোমাকেই বলা যায় সব
ধরা যায় হাত , পরম বিশ্বাসে ।
কী রকম পাগোল ভাবো ,
চরম অবিশ্বাসীর হাত ধরেছিলো পরম বিশ্বাসে ।
কিন্তু আজ আর তোমার কোনোকিছুই আমাকে
মুগ্ধ করে না । একথা তুমিও বুঝেছো ।
তাই সে প্রচেষ্টা তোমারও নেই ।
আয়নার মতো আজ আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে ।
আমি , তোমার মুখ মুখোশের একমাত্র সাক্ষী ।
আমাকে ঘৃনা করবে না ?
তোমার জঘন্য রাজনীতির সুকৌশল চালে
আমাকে একাকীত্বের আগুনে পুড়িয়ে মারবে না ?
ভেঙে দেবে না আমার মেরুদন্ড ? ধূলিসাৎ
করবে না আমার উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতাকে ?
ধ্বংস করো , ধ্বংস করো আমাকে ।
পুড়ে যাক ভালোবাসা , অন্তরঙ্গক্ষণ , বন্ধুতার
সমস্ত মুহূর্ত পুড়ে যাক ।
কবির ভাষায় আজ বলি -
" দাও মোরে দাও শত্রু দাও ।
সহে না সহে না আর জনতার জঘন্য মিতালি । "
- মহুয়া বিশ্বাস