প্রিয়তমা একদিন খুব হেসে ছিলো
সেদিন জীবনটা রাঙিয়ে খুব সেজেছিল!
কি যে ছিল তাহার মনে,
তা ভাবতেই ভীষণ অবাক লাগে,
যাই হোক সে তো আমারই প্রিয়তমা
অন্য কারো তো নহে ।
দুটি নয়নে তাহার প্রতিচ্ছবি দেখি
আমি অবাক হয়ে ভাবতে লাগি প্রিয়তমা আজ
এতো রঙিন কেন?
আকাশে কি নতুন চাঁদ উঠেছে,
নাকি তারাঁরা আজ খেলা করছে!
আমি প্রিয়তমাকে এত ভালোবাসতাম
যা আজ পর্যন্ত কেউ বাসে নি!
আসলে আমার প্রিয়তমাটা বড্ড বে খেয়ালী
ভীষণ তেজী,একটু রাগ অভিমান করলেই
মনে হয় আজ পৃথিবীতে আগুন লাগবে,
কিন্তু সেটা তো পৃথিবীতে নয় সেটা আমার মনের দেয়ালে।
তাই আমি প্রিয়তমার যেন রাগ না হয়
ওই জন্যই এমন কোন কিছু কথা আমি
আজ পর্যন্ত বলিনি।
আমি সব সময়ই প্রিয়তমাকে হাসাতাম,
সব সময় এমন কথাই বলতাম যেন প্রিয়তমা সারাক্ষণ হাসে!
মনে হয় প্রিয়তমার হাসি মুখে
আরো একটি চন্দ্র গ্রহ।
প্রিয়তমার সাথে এভাবেই হাসি খুশিতে
দিন যাচ্ছে, এভাবেই মাসের-পর-মাস সময় পুড়াছে!
এক যুগ কেটে গেল প্রিয়তমার সাথে,
একদিন প্রিয়তমা বিদায় নিল
এমন বিদায় নিল, আমার সমস্ত কবিতাকে কাঁদিয়ে দিল ।
আমার আঙ্গিনার ফুল গাছটাও প্রিয়তমার বিদায় শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল।
মাঝ রাতে জোনাক পোকারা
প্রিয়তমার রুমে কান্না করছে,
এভাবেই দিন আর সময় ফোরাচ্ছে
জীবনের ঘণ্টাধ্বনি ও আমায় ডাকছে!
মনে হয় আমারও এবার যাবার সময় হয়েছে,
চোখ দুটি বন্ধ করে আমিও অনুভব করি প্রিয়তমার সেই মুখের হাসিটি।