এখানে সব আছে তবু মনে হয় কিছু নাই
আছে জীবনের ছড়াছড়ি আসলে প্রাণ নাই।
কণ্ঠে কণ্ঠে বাজে গান, নাই তাল নাই সুর
প্রাণের মেলা যেন দূর হতে বহুদূর।


রাখালিয়া বাঁশি নাই, বাউলের একতারা
দিগন্তে ভাসেনা ভাটিয়ালি সুরধারা।
এখানে প্রকৃতি ছয় ঋতুতে সাজেনা
বৈশাখী মেলা নাই তাই ঢাকঢোলও বাজেনা।


আছে উঁচুনিচু পাহাড় টিলা যেন জীবনের মৃত্যুপুরী
বাতাস তো নয় ! এ যে আগুনের কুণ্ডলী।
বটের ছায়া নাই শাপলা-শালুকের নাই সমাহার
ফুলে ফুলে মধুকর সে কি দৃশ্য মনোহর।


ধান-নদী-খাল নাই, নাই পাখিদের কলরব
কৃত্রিম পুষ্পে সাজে বর-বধূ উৎসব।
টগবগে রূপরসে রমনীর হৃদয়টা প্রেমহীন
বাংলার ললনারা মমতার আঁচলটি পেতে দেয় রাতদিন।


শুধু দিন মাস-বছর নয় যুগও যায় পেরিয়ে
আমার জাকিয়া আজো পথচেয়ে দুয়ারে দাঁড়িয়ে।
এ যে বাংলার মমতার শ্যামলিমা রেশ
তাই স্মরি আর কাব্য রচি হৃদয়ে ছুঁয়ে যায় শীতল আবেশ।


এখানে কুয়াশার বালাই নাই বালু ঝড়ে পোড়ে দেহ
আঁখি পাতে শিশির বিন্দু, কিসের বেদন বোঝে কেহ?