আমি দেখেছি অনেক নিষ্ঠুরতা ,
সভ্যতার অন্তরালে নিদারুণ বর্বরতা!
দেখেছি আগস্ট পনেরো আর দেখেছি একুশ
রক্তে হোলি খেলায় মেতেছে কাপুরুষ!
সহস্র শবের ভিড়ে দেখেছি বঙ্গজননীর লাশ,
দেখেছি মুজিবের নিথর দেহ, আর হায়েনার উল্লাস!
যে শিশুটি দেখেনি আজও এই পৃথিবীর মুখ,
মাতৃগর্ভে ঝাঁঝরা হলো সেই শিশুটির বুক!
দেখেছি পৈশাচিক তাণ্ডব জেলের মধ্যে খুন,
কাজির আসন রুদ্ধ হলো ওখানে ধরেছে ঘুন!
বর্বরতা দেখেছি আমি, ভুলিনি সে গ্লানি,
রক্ত স্রোতে আইভি আপার নিথর দেহখানি!


কার ইশারায় দানবের দল এত রক্ত খায়?
কোন ভবনে খুনীর স্বর্গ, কার আঁচলে লুকায়?
কে যতনে মুছে দিল খুনের তলোয়ার?
কার সাথে পরম দোস্তি সিন্ধু-পেশোয়ার?
জানি আমি জানি,
কার খুনে জন্ম উৎসব? হে হৃদয়হীনা নারী!
বিভীষিকাময় চারিধার, ভেবেছ ভুলেছি সব?
দেশ জুড়ে যত স্বজনহারা আর্তের করূণ রব?
ভুলিনি কারা কিবরিয়া আর আহসানউল্লার খুনি,
জঙ্গী রানীর মুখেও আজ মানবতার বাণী!
আমি ঘৃনায় যাই মরে!
জাতির বিবেক যখন বুদ্ধির সওদা করে.
টকশো আর সভা মিছিলে ওদের জন্য কাঁদে,
পিশাচ আর নরপিশাচেরা এক সাথে বুক বাঁধে!


জাগো বাংলা মায়ের ছেলে  
মহা নিদ্রায় মগ্ন  যারা জন্মভূমির  কোলে,
মাগো,ওদের জাগিয়ে তোলো সাজাও রণসাজ,
হায়েনাদের হিংস্র ছোবল রুখতে হবে আজ!
সালাম বরকত আসুক আবার, আসুক রাউফুন বসুনিয়া
নাহয় একটি মুজিব আসুক, উঠুক বিশ্ব কাঁপিয়া!
ঐ অপশক্তির সাথে মোদের লড়াই হবে আজ
মাগো,ওদের জাগিয়ে তোলো সাজাও রণসাজ ।
অগ্নিশিখা জ্বলুক আবার মুষ্টিবদ্ধ হাতে
গর্জে উঠুক কোটি প্রান সাম্যের ব্জ্রাঘাতে ।