ঘোড়ার আগে গাড়ি যুড়ি
আমি চলি ইচ্ছে ঘুড়ি
মাঝদরিয়ায় ভিড়াই তরী, খুঁজে পাইনা তট,
খেলায় খেলায় শেষ বেলাতে সূর্য্য অস্ত পট!


আমার এই দেহ খানি,
যেন কচুপাতায় বিন্দু পানি,
আত্মভোলা তবু আমি, শুধুই মোহমায়া;
অবেলায় ভ্রান্ত পথিক খোঁজে বট ছায়া।


আজও পাইনি যারে খুঁজি
শুধু চাকচিক্যের মোহে মজি
রং-বেরঙের সাঙ্গ সাজি, সদা হচ্ছে মতিভ্রম,
মরিচিকার পিছু হেঁটে পণ্ড করি শ্রম।


হৃদয়ে যার বাজে বীনা
সে ছিল এক হৃদয়হীনা
এক অভাগি গুনছে কিনা, অপেক্ষায় প্রহর,
সীমাহীন অনাদরে যার পুড়েছি অন্তর!


হিরে ফেলে কাঁচ কুড়াই
ছন্দ ভুলে কাব্য হারাই
মন বুঝিনা তবু হাতটি বাড়াই, তাই দুঃখ নিয়ে ফিরি,
বুকের ভিতর সদাই যেন ঘুমন্ত এক আগ্নেয়গিরি।


মা মাটিকে তুচ্ছ করি
শুন্যের উপর বসত গড়ি
হাওয়ায় উড়ে সেই স্বপ্ন পুড়ি, ভাঙে তাসের ঘর,
মাটির বুকে ঠাঁই পেয়ে আজ পেলাম আপন-পর।