যদি তোমার ধমনিতে মুজিবের রক্ত বহে
কি করে যে রক্ত নীতির পরাজয় সহে?
কেন তুমি হলে বুবু এমন স্বেচ্ছাচারিনী,
এত মৃদু তরঙ্গে দোলে উঠে তরণী।
আনাড়ী নাবিক নিয়ে অথৈ যাত্রা,
মুর্খ পন্ডিতে টেনেছে মাত্রা।
এতো অর্জন ম্লান হয় তব অতি অকথনে,
নিন্দুকেরা হাওয়া পায় কুৎসিত বচনে।
আপনার ব্যক্তিত্ব ধুলায় মিশে যায়
হর্ষধ্বনি দেয় বসে বসে চাটুকায়।
তোমার অনিয়মে মোর নত শীর লজ্জায়
ছটফট করি আমি একাকী শয্যায়।
জানি তোমায় ঘিরে আছে হায়ানার কাল হাত
উৎকণ্ঠা উদ্বেগে কাটাও নিশি রাত।
হয়তো রাসেলের মুখখানি স্মৃতিতে ভাসছে
বুবু বলে কোল ঘেষে এই বুঝি বসছে!
দু:সহ বেদনা সারা বেলা বয়ে চল,
তাই আবেগে অকপটে অবাঞ্ছিত কথা বল?
তবু এতো জলদি বুবু তুমি হেরে যেতে পারনা,
দিন বদলের স্বপ্ন এঁকে ভেঙ্গে দিতে পারনা,
তোমার হেরে যাওয়া মানে বুঝ? বাঙ্গালীর অপমান
এ জাতির স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে হবে খান খান।
রাজাকারের জননী ভ্রু কেটে সাঁজবে
পাকিস্তানী প্রেতাত্মা উল্লাসে নাচবে।
জেনে রেখ হাসুবু আমি তা মানবো না,
অভিমানে ঘরে বসে আমি আর কাঁদব না,
প্রতিবাদী কাব্যে তোমাকেই বকব,
নয় নুর হোসেনের সাথী হয়ে রাজপথে লড়বো।