সোনার বাংলায় যখন শুনি স্বৈরাচারের গর্জন,
মোদের জীবন বাজি রেখে ওদের করি বর্জন।
আইয়ুব খান পালিয়ে গেল পশ্চিম পাকিস্তান
বীর বাঙ্গালীর রোষে পুড়ল ইয়াহিয়া খান।
স্বাধীন দেশ মহান নেতা, পিতা মুজিবর,
ভুলে গেলেন কে আপন কেইবা তার পর।
সাম্রাজ্যবাদ আর মীরজাফর মিলায় ঐক্য জোট
কারো মাথায় জিন্নাহটুপি কারো মুজিবকোট।
ওরা বঙ্গবন্ধুর রক্ত খেয়ে দিল অট্টহাসি,
ফিরিঙ্গিরা এসে বলে দেশকে ভালবাসি।
লাশের উপর হেটে জিয়া ছুঁইল মসনদ,
এরশাদ তাকে পিছন থেকে করল কুপোকাত
অবাক হয়ে দেখল জাতি ভানুমতির খেল,
মুক্তিযোদ্ধার টেকো মাথায় ভাঙল ওরা বেল।
শুরু হল স্বাধীন দেশে স্বৈরতন্ত্রের যুগ,
মনে হল এদেশ যেন মগের মুল্লুক।
মেজর জিয়া খুন হল ভার পেল ছাত্তার,
শেখ হাসিনার হুংকারে কাঁপছি থরথর,
ভেবে সবাই ব্যাকুল হল কি হবে বাংলার?
ঝোপ বুঝে কোপ মারল এরশাদ স্বৈরাচার।
নয় বছরে করল তামা শ্যামল বাংলার মাটি
বীর বাঙ্গালী ভাঙল শেষে সেই বেদুইনের ঘাঁটি।
আবার এল এই দেশে সোনার স্বৈরাচার,
সরকার আর রাজাকার একাকার একাকার।
মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করে স্বাধীন দেশের বুকে
রাজাকার বঙ্গভবনে ঘুমায় মহা সুখে।
গণতন্ত্রের নামের আসে আজব স্বৈরাচার,
মা-পুত মিলে দেশ করিল ছারখার।
নিরপেক্ষর নামে আরেক স্বৈরাচার এই দেশে,
রুই কাতলা শিকার করে নিজেই গেল ফেঁসে।
পরিবর্তন করবে বলে বুবু এল এবার,
কথার ফুলঝুড়ি ছাড়া কি আছে দেবার?
কেউ কথা রাখেনি মা, কেউ কথা রাখেনি,
মুজিবের বেটিও নাকি মস্ত স্বেচ্ছাচারিনী।