দেখি পথ ধারে দুটি কন্যা জরিনা আর ঝর্না,
জীর্ণশীর্ণ কিশোরীদ্বয় গাঢ় শ্যাম বর্না।
একের পিঠে অন্যে দাঁড়ায়ে ডাস্টবিনে দেয় উঁকি,
বিভোর হয়ে খুঁজছিল খাবার আছে নাকি।
ওরা পাহাড়সম স্বপ্ন নিয়ে প্রতি ভোরে উঠে।
কঠিন বাস্তব নিত্য ওদের স্বপ্ন গুলো টুটে।
পথশিশু হয়ে ওরা সমাজ থেকে দূরে,
রোগে শোকে পথ্যবিনে অকালে যায় মরে।
ওদের জন্যে হয়নি বুঝি কোন পাঠশালা,
চষে বেড়ায় সারাবেলা পঁচা দাবা নালা।
দেখে মনে হয়,
এই দেশটা বুঝি আর মানুষের নয়।
মানুষের  মাঝে কি আর ব্যবধান থাকে?
কারো জন্য স্বর্গ নিবাস কেউ রাস্তার বাঁকে।
চল্লিশ বছর পরেও কেন ভিক্ষার ঝুলি হাতে?
কেউ এখানে উচ্ছিষ্ট খায় কেউ দুধে ভাতে।
এই শিশুরা আশ্রয়হীন পেটে নেই অন্ন,
তবে উন্নয়নের জোয়ার বহে কাদের জন্য?
কে ওদের অন্ন দেবে? কে দেবে আশ্রয়?
এই প্রশ্নের ন্যায্য জবাব পেটে হবে নিশ্চয়!
জান্নাতের টিকিট ওয়ালা পীরসাহেবরা কই?
কারে অভুক্ত রেখে খাও রুটি দই?
পেশাজীবী বুদ্ধিজীবী জ্ঞানীগুনি কত,
কার স্তবরচে করে মাথা নত?
মাহফিল সেমিনার কত আয়োজন,
জরিনাদের জন্য কারও কাঁদল নয়ন?
জবাব দাও মুজিব কন্যা আর দেশনেত্রী,
ওরা কেন পথের ধারে কাটায় দিবারাত্রি?
কোথায় মোদের জাতির পিতা, কোথায় শহীদ জিয়া?
দেখ ঝর্না আজও লজ্জা ঢাকে ছিন্নবস্র দিয়া!
এই লজ্জা কার?
তোমার, আমার নাকি ঐ স্রষ্ঠা বিধাতার??