বিশ্বে যা বিরল যার অসীম ক্ষমতা
শোনাব এমন দুটি দুর্লভ কবরের ইতিকথা।
একটি কবর শ্যামল বাংলার নিঝুম এক গাঁয়
আরেকটি ব্যস্ত নগর  মুক্ত চন্দ্রিমায়।
স্থান ভেদে মাটির উপর আছে ভিন্নতা
মাটির নিচের পৃথিবীটা নির্মল সমতা।
তাই ভিন মতের কবরদ্বয় সমশক্তি রাখে
ক্ষমতার পালাবদল পালাক্রমে লিখে।
একটি জাতি দুই ধারায় সমান্তরাল চলে
হিংসা নামক বিষ ছড়ায় প্রতি পলে পলে।
ওই কবরে  ফুল ছিটালে ভাগ্য বদল হয়
নর্দমার কীট পতঙ্গ নেতা বনে যায়।
সব কবের মহিমা
দুই ধারার দুই তীর্থস্থান যেন নগ্ন প্রতিমা।


বানভাসি আর দুর্যোগের ভিক্ষার অর্থ দিয়ে,
তাঁরা হয় ঋষ্টপুষ্ট ওই কবরে শুয়ে।
অভুক্ত কত শিশু মরে পেটের পীড়ায়
অথচ দিনে দিনে কবরের সোভা বাড়ায়!
বগলপুরের আশ্রমে যায় এতিমের ধন,
মূল্যবোধের  অবক্ষয় এতো অধঃপতন!


রাষ্ট্র বিজ্ঞান পড়ে যারা, তারা মুখ লুকিয়ে থাকে
রাষ্ট্র চালায় চাপাবাজ আর দুষ্ট কিছু  লোকে।
অশ্লীল তাদের মুখের বচন আর নির্লজ্জ হাসি
পদের লাগি পদলেহন চলছে দিবানিশি।
বিপ্লবী স্লোগান বুকে নানা ব্যজ
নারী পুরুষ একাকার নাই হায়া লাজ!


কার হাতে ক্ষমতা আর কে দেব তুল্য?
বাংলার জনতার আছে কোন মুল্য?
জীব যাকে নেতা বানায় সে জড়কে দেয় ফুল
এই মূর্খতার কবে হবে নির্মূল?
শুধু ক্ষমতার পালাবদল দেখি বসে বসে
পুরান মদ নতুন পাত্রে কেমন করে আসে!
এই আজব রীতিনীতি কবে হবে শেষ?
কবে এই কবর পুজার  মুক্ত হবে দেশ?


শুনছি আমি কান পেতে মাটির আহাজারি
জেগে ওঠো বিবেক, জাগো কাণ্ডারী!
একটি দেশ একটি জাতি, বিবেধ মুক্ত করো
মূর্খতা আর অনিয়মের টুটি চেপে ধরো।
এই কবর নামক দৈত্য চুরমার করে দাও  
এই পাপ  জমিন থেকে ঊর্ধ্বে তুলে নাও!

নীরব গজব দেশ জুড়ে এই দায় কার?
জেনে শুনে মহাপাপ আর  মোহ ক্ষমতার?
শুধু আমি জাতির কাছে একটি প্রশ্ন রাখি,
নৈতিকতা বলতে কি আর আছে কিছু বাকি?
যারা  ছিলেন সাধারন রক্ত মাংসে মানব
কেন তাদের কবর হবে রাক্ষুসে দানব?