তাকে খুঁজি দিক দিগন্তে পাতাল হতে ঊর্ধ্বলোকে
অগ্নি পানি বাতাস আর প্রতি কনা ভূগোলকে ।
কবির ছন্দে পাখীর গানে বাউলের একতারাতে
আলো আঁধার জোছনা রাতে, মিষ্টি মধুর ভোর বেলাতে।
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে আলোকরশ্মির শেষ কিনারে  
মন্দির গির্জা প্যাগোডা আর মসজিদের ওই মিনারে,
উদাস হয়ে খুঁজি আমি আমার সেই প্রাণ সখারে ।
দেখি আমি শিশির বিন্দু, ফুলের বুকে পরাগ রেনু
বিভোর হয়ে শুনি ঐ সুদূরে কে বাজায় বেনু।  
অভ্যান্তরে দেহের কোষে অতি সূক্ষ্ম ক্রোমোজোমে
ভূগর্ভস্থ অন্ধ কুপে প্রানের মেলা  দমে দমে।
হন্নে হয়ে খুঁজি আমি কোথায় আমার প্রানের স্বামী,
যে আমারে হাসায় কাঁদায়,আমায় নিয়ে এই পাগলামি।
দুঃখ তাপে ভাঙ্গামনে নিশি জাগি কাহার সনে?
আমার প্রাণ শীতল করে তাহার মধুর প্রেম দানে।
যে আমায় দান করিল মায়ায় পূর্ণ গোপন হিয়া,  
ব্যকুল হয়ে তাকে খুঁজি কোথায় আমার পরান প্রিয়া।
নিঃস্ব হবো রিক্ত হবো তবু তাকেই চাই
আবার ভাবি বিশ্ব ভ্রমে কোথায় তিনি নাই?