ওরা রাত ভর বয়ান করে নারীনেত্রীত্ব হা্রাম
আতর সুরমা দিয়ে আবার বেগমের পিছে দাড়ান
ওরা বাংলার মৌলবাদ,
মুখে বলে শান্তির বানী অন্তরে জল্লাদ।
বলে, শহিদ মিনার কবরে ফুল ছিটানো পাপ,
মন্ত্রী হলে সব হালাল  সবই পাক-ছাফ।
যুদ্ধকালিন নারী ইজ্জত গানিমাতের মাল
পরনারী সৈনিকের বাড়ায় মনোবল!
মিথ্যাবাদি ঐ শকুনের দল,
রন্ধ্রে রন্ধ্রে হিংসা ছড়ায়, নাড়ে স্বার্থের কল!
রুশ ভারতের গন্ধ পেলে জেহাদ করে কত!
আমেরিকার নাম শুনলেই মাথা করে নতঃ।
কুরআন সুন্নাহ পুঁজি করে গড়ে অর্থবিত্ত
গ্রেনেড দিয়ে নরহত্যার নেশায় থাকে মত্ত।
হুজুরের মেলা বসে মিছিলে রাজপথে
বোমা ককটেল ছুরি আর গজারি লাঠি হাতে।
জীবন্ত মানুষ পোড়ে ভাংচুর করে যান,
হিংস্র বন্য  হায়ানা, ওরা নরকের শয়তান।
আগুন জ্বালায় অবলীলায় মন্দির প্যাগোডায়
সম্প্রীতির বাঁধন  টুকু  ছিরে ছিরে খায়।
ওরা বাংলার নষ্ট ছেলে অন্তর ভরা বিষে
পানের পিকের অন্তরালে এতিমের রক্ত চোষে।
ওরা সয়না ভিন্ন মত,  
নাস্তিক মুরতাদ কাফের বলে রুদ্ধ করে পথ।
স্বার্থের লাগি দলবাজি করে, চরম স্বার্থপর  
ধর্মের আগাছা ওরা মার্কিন অনুচর!  
ঐ অন্ধকারের কীট যাবে নর্দমাতে গলে ,
লক্ষ শহিদ দূর আকাশে তারা হয়ে জলে।
মাটি যাকে ত্যাজ্য করে তার জন্য কেউ কাঁদেন?
কি নিয়তি বরন করল ওসামা বিন লাদেন ?
বাংলার ওসামারা শোন পেতে  কান
জাগছে নবীন প্রাণ ।
যাদের বুকের  ভাসে সদা সাম্যের জয় গান!!


(আজ ১৪ ডিসেম্বর, বাংলার ইতিহাসে বেদনাময় দিন। ১৯৭১ এরএই দিনে কতিপয় ধর্মান্ধ মৌলবাদীর হাতে শহিদ হন আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র গুলো। তাদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গকৃত আমার এই লেখা।)