নতমুখে রয়েছি দুয়ারে দাঁড়ায়ে,
নেবে কি অভাগারে দু’বাহু বাড়ায়ে।
জলে ভেজা আঁখি মোর করিতেছে টলমল,
খুঁজে ফেরে সারা বেলা মমতার আঁচল।
ক্ষণিকের ফুল ভেবে দেবে কি সরায়ে?


খুঁজেছি তোমায় আমি মরুগিরি প্রান্তরে।
লুক্কায়িত তুমি এই ভিখারীর অন্তরে,  
মোর সব পথ ছিল ধুধু মরিচিকাময়
মন পাগল ছিল নির্ভিক-নির্ভয়
তাইতো তরী মোর তোমার-ই বন্দরে।


মোর গোপন প্রিয়া তুম নও মিছে আলেয়া
মোর শেষ আশ্রয়, যেন বটছায়া।
বিলিয়েছে আপনাকে অবোধের তরে
যত পাই ততো চাই মন নাহি ভরে
দাও বুক ভরা ভালবাসা, প্রাণ ভরা মায়া।


প্রেমময় ভূবন মাঝে আছে ছলনা
হাসি আছে, মন মাঝে, আছে কান্না,
ক্ষনে ক্ষনে নিয়তি রূপ বদলায়
প্রেমও কলংকময় মোহ-কামনায়,
তোমার প্রেমে চোখে মোর অঝর বন্যা।


অপরূপে বিধাতা গড়েছে তোমায়,
মমতায় পূর্ণ এক কোমল হৃদয়।
সযতনে লুকায়িত এক পাগল হেথায়
নিরব অশ্রুঝড়ে তাহার ব্যথায়।
এত প্রেমে বিধাতা দিয়েছেন ধরায়?


কাঁপিছে দেহতরী মন আজ অশান্ত
তোমার পরশ বিনা হবে কি তা ক্ষান্ত?
কোন প্রান্তে বসে তুমি মিটি হাসছো?
মাঝ রাতে ঘুম ঘোরে শিয়রেতে বসছ
এতো দান মোর লাগি, আসল নাকি ভ্রান্ত?


আজ নবরূপে নবসাজে হৃদয় অরণ্য
এই ফাগুনের সুরবীনা সে কার জন্য?
কোকিলের কুহুতান শিমুলের লাল
প্রিয় কিছু স্মৃতিময় একটি বিকাল,
তোমার জন্য সব হে হৃদ বরণ্য।


জানিনা কোথায় হবে এ যাত্রার শেষ?
কার হাতে রশি মোর কে টানিবে রেশ?
কোন বিনোদিনী সদা খুলে রাখে দ্বার?
কার হাতে দীপশিখা, পথ অন্ধকার।
তোমার আঁচলে হোক  সুখের আবেশ।