তুই চলে গেলি?
যাবিই তো! আমি তোর কে রে?
ভাইকেও ছেড়ে গেলি অন্ধকারের ভীড়ে?  
যা, কিছুই বলার নাই তোকে
তুই থাক তোর স্নপ্নালোকে।
আমার নীরবতায় ভাবিস না মন ভার,
এক অবুঝের জন্য কাঁদব? এমন দায় নাই আমার!
এ চোখে এমনিতে টলমল করে জল
দেখিস না, বাতাসে ধূলা আর অযাচিত ক্ষুদে পোকার দল?
তবে নিজেকে বড্ড অবাঞ্চিত মনে হয়
হাত পা কাঁপছে নিজের অক্ষমতায়!
তোকে আর ডাকবো না, বলবো না ফিরে আয়,
ইচ্ছে হলে চলে আসিস এই ছন্দ বীথিকায়,
আরেকটা কথা শুনে যা,
ক্ষিপ্র কুঠারের ফলায় বেশ আছি,
থাকবো যতক্ষণ থাকে প্রাণ
তোর দেয়া ঘৃণা  বর্ষণে আমিও করেছি স্নান।  


যে মান ভাঙ্গাতে পারেনা, তার সাথে অভিমান?
চেতনাকে থামিয়ে এমন প্রস্থান?
হয়তো তার ছিল অহমবোধ
তার প্রতিশোধে আপনার কণ্ঠরোধ?
কঠিন কোমলে গড়া এক প্রতিবাদী কবি
মেনে নিতে পারেনা এমন মুলতবি।
বারুদের স্বরে যতই আসুক অপবাদ
জানি তুই ফিরবি সাথে নিয়ে প্রতিবাদ।