কিছুই হয়না আর মনের মতন
প্রতি পদে পদে  ছন্দ পতন,
গদ্য নাকি পদ্য এই দ্বিধা দন্দ
তমসে মিশে যায় কুড়ানো ছন্দ।


আঁখি খুলে দেখি মিথ্যুকের মুখ
কষ্টে বেদনায় ভেঙ্গে যায় বুক।
কথা আর কাজে এতো ব্যবধান
মানুষ হয় কেন পশুর সমান?
পত্রিকার  পাতা জুড়ে ধর্ষকের ছবি
বিশ্বজিতের রক্তে আঁতকে ওঠে কবি!


হিম ঝড়ানো কনকনে শীতের রাত
কুয়াশার গভীরে হারায় চাঁদ,
হিমেল হাওয়া এসে বাড়ায় তেজ
কেঁপে কেঁপে কুকুরটা গুটায় লেজ
পাশে শুয়ে বৃদ্ধা কাঁপে থরে থর
খোলা এই আকাশটা তার বাড়ি ঘর।
বস্ত্রহীন কত লোক রাজপথে থাকে  
কত শিশু কত মা আছে বাকে বাকে
কেউ কি আছে তার খবর নেবার?
একটু উষ্ণতার পরশ দেবার?


কত কষ্টে কৃষক মাঠ করে চাষ
পঁচা কাদা পানিতে থাকে বার মাস
পানিতে রক্ত চোষা জোঁকের উৎপাত
টাকার মালিকেরা কেড়ে নেয় ভাত,
অভুক্ত শিশু তার ছাড়ে নিঃশ্বাস
কার ঘরে চলে দেখ খাদ্য বিলাস!!


ভাই বোনে বৈষম্য গড়ে দিছে মা
অবাক বিস্ময়ে দেখেছি তা!
সংসারে নারী আর পুরুষের মাঝে
বৈষম্যের বীজ বোনা প্রতিটি কাজে
মহল্লা সমাজে বিস্তৃত তা
ধর্মের মাঝেও আছে আগাছা।


অনিয়মের  আখড়া প্রতি পলে পলে
সীমাহীন বৈষম্য মাটি বায়ু জলে।
সাদা আর কালোতে চির ব্যবধান
কার সাথে করি বল সহাবস্থান?