আমার ব্যথার কলি গুলো কভু ফোটে না,
অনাদরে ঝরে যায় কেউ দেখে না,
কেন বাবায় বিদেশ থাকে? এতো কিসের অভাব?
এবার যদি না আসে দেবো দারুণ জবাব।
কথা যদি না রাখে করবো অভিমান
হারিয়ে যাব অনেক দূর, কাঁদবে বাবার প্রাণ!


টেলিফোনের মিষ্টি কথায় মন ভরে আর
সত্যি করে পেতে চাই প্রাণের ছোঁয়া তার।
বছর শেষে ঈদ আসে আবার চলে যায়
আশায় আশায় থাকি আমি বাবার প্রতীক্ষায় ।
নতুন জামা নতুন জুতা তবু মলিন মুখ
দেখতে কি পায় কেউ কভু দুঃখে ভরা বুক?
বাবার কোলে বসে সবাই ঈদের মাঠে যায়
বুঝতে কি পারে কেউ আমার মন কি চায়?


আমিতো চাইনি কভু দুধে মাখা ভাত,
এটা সেটা বায়ানা করে জ্বালাইনা দিন রাত।
সকাল সন্ধ্যা পড়তে বসি স্কুলে নেই ফাঁকি
তবে কে যেন ক্ষনে ক্ষনে করে ডাকাডাকি!
শুধু একটা শব্দ শুনে ক্লাস থেকে পালাই
বিমানটাকে দেখার জন্য মাঠে এসে দাঁড়াই।
ঐ বুঝি মোর বাবা এসে উড়াল দিয়ে যায়
এক পলকে গাছের ফাঁকে বিমানটি লুকায়।


যখন ঘুমের কোলে ঢলে পরে আমার আঁখিপাত
কে যেন মা যতন করে মাথায় রাখে হাত!
চোখ মেলে চেয়ে দেখি তুমি গভীর ঘুমে
তবে বাবা কি সংগোপনে কপাল গেল চুমে?


(প্রবাসী  বাবার জন্য একটা সন্তানের ব্যাকুলতা, ১৩/১১/২০১২ তাং "হিয়ামের যত কথা" প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়েছে, অনুরোধ করবো একত্র করে পড়তে।)