আমার বিবেকের অপমৃত্যু ঘটেছে
মানসিকতা নষ্ট হয়ে গেছে
চেতনায় ঘুন ধরেছে
কলম গোস্বা করেছে!
ঘৃণার আগুনে অবিরাম জ্বলছি!


সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি
দুনিয়ার সকল পশুজাতের জীবনবৃত্তান্ত ঘাঁটাঘাঁটি করে
একটি উদাহরণও খুঁজে পাইনি
যেখানে একটি শাবক তার অগ্রজের দ্বারা নিগৃহীত
উম্মুক্ত ওদের উপস্থ কিন্তু দুষ্ট নজর থেকে মুক্ত।


অথচ আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা?
জন্মের পরেই যাদের লজ্জা ঢাকার ব্যবস্থা
বাল্য শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষা
বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়
মানুষের জন্যই বিশাল আয়োজন।
মসজিদ মন্দির আরও কত ধর্মালয়!
এর একটিও চতুষ্পদের  জন্য নয়।


মানুষের জন্য নীতি পুস্তক
আদর্শ লিপি, বাণী চিরন্তনী আর ধর্মগ্রন্থ।
কত ধর্ম যাজক, কত মহামানব
পুরুষ সুপুরুষ, মহাপুরুষের মহা আবির্ভাব!
মানুষকে মানুষ করতে পেরেছে কি?


পাঁচ বছরের শিশু যাদের লালসার শিকার
ক্ষত বিক্ষত করে ঐ অঙ্কুরিত ফুল!
তাদের আমরা নরপশু বলি?
এ যে অবোধ পশুদের অপমান!


মানুষের মানবিক গুণাবলী লুপ্ত!
কোন বাণীতেই যদি মনুষ্যত্ব জাগ্রত না হয়
তবে ঐ ঐশী বাণীর প্রলেপ দিয়ে লাভ কি?
মুছে ফেল ঐ সব কালো দাগ,
পুড়ে ফেল নীতি কথার সব পুস্তক
ছিঁড়ে ফেল কবিতার পাণ্ডুলিপি!
বন্ধ কর ধর্মালয়ের সকল দ্বার
যেখানে আত্মার পরিশুদ্ধি হয় না
থামাও সেই গির্জার ঘণ্টা ধ্বনি!


একটি মাসুম শিশুর ইজ্জত যেখানে নিরাপদ নয়
নিকুচি করি সেই সামাজিক ব্যবস্থাকে,
মানবাধিকারের অর্থহীন হাঁকডাক
ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করি ।
আমি শুনতে চাই না
নিরাপত্তা বলয়ের মিথ্যা আশ্বাস আর-
রাষ্ট্র যন্ত্রে ভণ্ডামি, ওদের  উদ্ভট প্রলাপ!


(প্রতিদিন কিছু নরাধমের লালসার শিকার হয় অনেক শিশু, ঐ পিশাচদের প্রতি ঘৃণা জানিয়ে এই আয়োজন )