ফিরে যা "মহাসেন",
তোকে মোকাবেলা করার শক্তি আমি আর রাখি না।
আমি আর আগের মতো নাই,
আমার চেতনায় ঘুন ধরেছে,
বিবেক মরে গেছে
মনুষ্যত্বও কোন এক ছিদ্র দিয়ে বেড়িয়ে গেছে
আমি নাকি টেরই পাইনি!
সত্যি তাই-
আমার চোখে জল নাই
মানুষের মৃত্যুতে আমি আর কাঁদি না!


কি করে কাঁদি বল?
আমার হৃদয়ের পুণ্যস্থান
যে মসজিদের মিনার থেকে শুনি আজানের ধ্বনি
সেখানে আজ মানুষের রক্ত পানের আহবান!  
যে পবিত্র গ্রন্থে বিশ্ব মানবতার মুক্তির বাণী
তা আজ নষ্ট রাজনীতির হাতিয়ার।
যেখানে-
সহজ্র  জীবিত মানুষের জন্য গায়েবানা জানাজা হয়,
কল্পিত শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায়
কবিতার পাতায় পাতায় স্তবকীর্তন!
যেখানে-
সতের দিন পরে মৃত্যুকূপ থেকে ফিরে আসা
রেশমার জীবনও  নোংরা প্রশ্নের মুখোমুখি!
সেখানে
তোর আগমনী বার্তায় কারও ঠোঁটে হয়তো চাঁদনী আভা।
ধ্বংসযজ্ঞের পরে ওরা বলবে, "আল্লাহর গজব"।
তাই আজ কাঁদতেও ঘেন্না হয়!!


এখনই থেমে যা, সর্বনাশী 'মহাসেন"
আল্লাহর ওয়াস্তে ফিরে  যায।
আমি সিডর আর নার্গিসের নিষ্ঠুরতাএখনও ভুলি নাই।
কি করে ভুলি?  
যার যায় সেই তো বুঝে বিষাদের কি বেদন!
আমি আর একটা প্রিয় মানুষের মৃত্যুও সইবনা
কারণ  আমি যে কাঁদতে পারিনা
তাই ওরা আমাকে নিষ্ঠুর বলবে!
তুই আমার চোখের দিকে তাকিয়ে এই মুহূর্তে ফিরে যা!


(ভয়াবহ দুইটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে !!! নাম জামালা আর 'মহাসেন!!
ভারত মহাসাগরের একটি বিরাট এলাকাজুড়ে আবহাওয়ার অস্থিতিশীলতার কারণে চলতি সপ্তাহে দুটি উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় দুটি বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্ব, শ্রীলঙ্কার পূর্ব ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
এরই পটভূমিতে লেখা এই কবিতা)