আমিতো কখনও স্রষ্টার বিরুদ্ধাচারণ করিনি
করতে পারিনা। কারণ-
প্রতি পলে পলে অনুভব করি তাঁর অস্তিত্ব,
মহাসৃষ্টির পরতে পরতে তিনি বিস্তৃত
আমার অন্তর চোখে অবলোকন করি।
নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে অনুমানে তাঁকে পাই
হৃদয় মাঝে, মিশে আছে সকল কাজে!  


এই  ভু-গোলোকে সমতলরূপে  
কার হিম্মত তিনি ছাড়া শস্যে পূর্ণ করে?
এতো সাজ এতো রূপে কে পারে সাজাতে
এতো মায়ার বন্ধনে কে পারে জড়াতে?
ঐ গ্রহ উপগ্রহ আর বিস্ময়কর নক্ষত্র
কার পানে, কার দিকে চলে অবিরত?
এই ঊষা লগ্নে সূর্যস্নানে  ফুলেল উৎসব
রাতের আঁধারে জোছনার খেলা-
জানি, মানি সবই তাঁর দানে।
তবুও আমায় নাস্তিক বল কি কারণে?


আমি মানুষকে ধর্মের আদলে বিভক্ত করি না, তাই?
আমি যদি সৃষ্টির প্রতি কণাকে স্রষ্টার সৃষ্টি রূপে স্বীকার করি
তবে অমুসলিমকে কি করে করি অস্বীকার?
স্রষ্টাকে অস্বীকারকারীকেও কি করে হত্যা করতে উদ্ধত হই।
আমিতো স্রষ্টার দেয়া চোখ দিয়ে দেখি
তাঁর আলোতে, তাঁর বাতাসে, তাঁর পানিতে,
তাঁর মাটিতে তাঁর খাদ্যে, তাঁরই দেয়া জীবনকে বাঁচিয়ে রাখে।
কত মায়া, ভালোবাসার চাদর দিয়ে আগলে রাখে!
আমি তাঁর মমতায় শিহরিত!
তাঁর গোস্বার ভয়ে সদা কম্পিত!


আমি শুধু ঘৃণা করি সেই নরপশুদের
যারা সৃষ্টির সেরা মানুষকে
বিভক্ত করে জাত-গোত্রে, ধর্ম-বর্ণে,  লিঙ্গে।
নারীর রূপ দেখে অন্তরে লালা ঝরে
রন্ধ্রে রন্ধ্রে হিংসার বীজ বোনে।


আমি খুনিকে খুনি বলি জাত-পাতের ঊর্ধ্বে উঠে
ধর্ষকের বিচার চাই স্রষ্টার আইন মেনে
ধর্মব্যবসায়ীর মুখোশ খুলি ধর্মকে ভালোবেসে।


তাই আমাকে নাস্তিক বল? বল, তবে-
কুণ্ঠাহীন চিত্তে বলি, আমি  তোমায় চিনিনা, মানিনা
আমি নাস্তিক হলে-
তুমি সুবিধাবাদী বকধার্মিক, পরিচয়হীন বেজন্মা!