সোনার চামচ মুখে নিয়ে আসিনি নিশ্চয়
তাই আমার ছেলে বেলা সবার মতো নয়।
তখন আমি অনেক ছোট দুই বছরের যীশু
নিয়তির অপার খেলা দেখে অবুঝ শিশু।
হঠাৎ আমার ঘুম ভাঙ্গত করুন কান্নার স্বরে
আজও আমি  উদাস হই যখন মনে পরে!
বুঝতাম না মায়ে আমার কেন এমন কাঁদে
এখন আমি সবই বুঝি অনেক দিন বাদে।


বড় পুকুরের পূর্ব পারে শিমূল গাছের তলে
বিকেল হলেই যেতো মা আমায় নিয়ে কোলে
দেখতাম একটা নতুন কবর ফুলে ফুলে ঢাকা
লাল শিমূলের পাপড়ি দিয়ে  ভাগ্য হল আঁকা।  
আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে মায়ের চোখের পানি
মুছে নিত মুখ লুকিয়ে টেনে আঁচলখানি!  


দিনে দিনে একটু বড়, আমার কিশোর বেলা
চেয়ে দেখতাম অনেক শিশু মাঠে করে খেলা
আশ্রমের বন্দি দশায় আমার দিন ফুরায়
ছুটির দিনে থাকতাম বসে মায়ের অপেক্ষায়!


আজকে আমি অনেক বড় জগৎ জোড়া নাম
কত সাজে সাজাই আমায় নয়নাভিরাম!
কিন্তু আমার শিকড় গাঁথা সেই শিমূলের তলে
সবটুকু সুখ সাঁতার কাটে গোপন অশ্রু জলে!