অতি সূক্ষ্ম বালুকণা পৃথিবীর মূল
অল্প অল্প বিশ্বাসই ভেঙ্গে দেয় ভুল
একবিন্দু জলকণা গড়ে মহাসিন্ধু
মহাবিশ্ব ঘোরে যার কেন্দ্রে এক বিন্দু।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় মহা কর্মযজ্ঞ
একটি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গড়ে দেয় ভাগ্য
ভগ্নাশের সমষ্টিই গাণিতিক ফল
এক দুই তিন মিলে বিশাল মিছিল।

একটি হাত অন্ধেরে শক্ত করে ধরে;
এক জনের প্রেরণা লক্ষ্য পূর্ণ করে
এক প্রদীপ আঁধারে দেয় পথদিশা,
এতটুকু ভালোবাসা মেটায় হতাশা।
যার  প্রেরনা ও শক্তি আমার সংগতি
শত কাব্য আর গানে গাই তাঁর স্তুতি    


(কবিতার আসরে আজ অনেক কবিদের সম্মিলন, অনেক নতুন মুখ। প্রতিদিন প্রায় ৬০/৭০ টি কবিতা প্রকাশিত হয়। একটা বিশাল পরিবারের মত, এক অদৃশ্য বন্ধনে বাঁধা পরে গেছি।
কিন্তু এক সময় এমনটি ছিল না। প্রথম দিকে কবিতায় আলোচনার চেয়ে সমালোচনা বেশী হত। কেউ কেউ নিজেকে কবিতার পণ্ডিত ঘোষণা দিয়ে নতুনদের কবিতায় এমন ভাবে মন্তব্য দিতেন যেন ফুলটা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। তখন একজন কবি নতুনদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অবিভাবকের মত। অযাচিত আক্রমণ থেকে তাদের রক্ষা করেছেন। তিনি নিজেও ব্যক্তিগত আক্রমনের শিকার হয়েছেন বারবার। কিন্তু দমে যাননি।
আমার কবিতাও আমার চোখের সামনে ব্যবচ্ছেদ করা হত, মনে হত সদ্যজাত সন্তানটা আমারই সামনে রক্তাক্ত। সেই অবস্থার মাঝে সেই মহান মানুষটি আমার পাশে না দাঁড়ালে হয়তো এতদিন এই আসরে কবিতার চর্চা আমাকে দিয়ে সম্ভব হত না।  তাঁরই প্রেরণায় এক এক করে দুইশত কবিতা এখানে প্রকাশিত।
আজ পরম শ্রদ্ধায় তাঁকেই উৎসর্গ করলাম আমার আজকের কবিতা "দ্বি'শতক"।
তিনি হলেন আসরের প্রাণ, আমাদের সবার প্রিয় "কবি অরুন কারফা"।)