এক দিন সুখ ছিল প্রজাপতির পাখায় পাখায়
সুখ ছিল ঘাস ফড়িঙের চোখের তারায়
দোয়েলের শিস আর শালিকের কলরবে,
কপোত আর কপোতীর সুনিবিড় অনুভবে
রাত দুপুরে শেয়ালের হাকে, হুতোম পেঁচার ডাকে  
ঝোপঝাড়ে জোনাকির আলোতে
সুখ ছিল চক-সিলাটের  সাদা আর কালোতে
লণ্ঠনের আলোতে পুঁথি পাঠের আসরে সুখ ছিল  উঠানে।
মায়ের হাতে তালপাতার পাখাতে
বাতাসের সাথে সাথে বিষাদ সুরে গুনগুণ গানে
এক দিন সুখ ছিল।


বৈশাখী গর্জনে বোয়াল মাছের গড়াগড়ি
ঝড়ের পরে বাগানে ঝরা আমের ছড়াছড়ি
কোলা ব্যাঙের খেলাতে, ভাসমান ভেলাতে
আর বৈশাখী মেলাতেও সুখ ছিল
ভিজে ভিজে আষাঢ়ের বৃষ্টিতে
হাকিম চাচার মাথার ঝাপিতে তাজা ইলিশের গন্ধ
আহা কত যে সুখ ছিল, ছিল আনন্দ!!


সুখ ছিল বীথির কণ্ঠে সুমধুর গানে
কানামাছি, বউছি খেলাতে সুখ ছিল প্রাণে
মকতবে হুজুরের কড়া শাসনে
ঈদে সুখ ছিল নতুন বসনে।
নবান্ন উৎসব ও পৌষ পার্বণে  
হাড়কাঁপা শীতেও সুখ ছিল গ্রামীণ জীবনে,
খেজুরের মিঠাতে, সাজের পিঠাতে
চৈত্রের কাঠফাটা রোদে বটের ছায়া
রাখালিয়া সুরে ছিল কত সুখ! কত ছিল মায়া!!