হে চির যৌবনা, যৌবতী.........
মিশেছ তুমি
রুপল্যাবন্যের ন্যায়ে, আমারই স্বদেশে
কত রঙ্গে আর কত না ডঙ্গে, বাহারি সাজে
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীতও বসন্তে-
হে চির যৌবনা, যৌবতী.........
হে চির মসৃন, হে ধূসর কালো সুন্দরী
তপস্যাকে বিবর্ন করে ধরণীকে করেছ তুমি
ইচ্ছের আনন্দস্মান আর অনিচ্ছায় বিপদী।
হে চির যৌবনা, যৌবতী.........
বাঁধিয়াছ পাল, ধরিয়াছ হাল, যেন তাহার মাঝে সবি
কতরূপ সুন্দর, কত না অপরূপ পন্থায়
কি চিরাচরিত আর সু-বিশাল ব্যবস্থায়
সমগ্র বিশ্বকে করে একত্র, যেন মধুর মিলনে বাঁধিয়াছ আটি।
হে চির যৌবনা, যৌবতী.........
মাঝি নৌকা বায়, তোমার প্রতকূল আবহাওয়ায়,
শিহরিত বাতাসে চলে চল চলিয়ে, খায় দুলে দুল,
ঋতুকে করেছ সেরা হে বসন্ত, এপাশ ওপাশ ঘেরা
গগনে গরজে, চির সৌরভে, সৌরভিত যেন কৃঞ্চচূড়ার ফুল।
হে চির যৌবনা, যৌবতী.........
পাখির কুহু কুহু, রাখালীর মুহু মুহু আর ভেঙ্গের গ্যাঙ্গর গ্যাঙ্গ,
জোছনা রাতের জোনাকি পোকার টিপটিপ আলো,
আর বাবুইের বসত উল্টো বাসায় সরু ট্যাঙ!
শাপলা-শালুক ঝিলের বুকে, বকুল-কামিনির গন্ধে
রাতের চির প্রহরী, মেতেছ তুমি তোমার রীতির, ছন্দে।
হে চির যৌবনা, যৌবতী.........
তুমি কুয়াশা ঘেরা দু-দু পান্তর উঞ্চ শীতের কাহন,,,
শীতল আবহাওয়ায় করে দাও পৃষ্ট,
ভেঙ্গে দাও গ্রীষ্ম বর্ষার বাঁধন।
আমি তোমারই তটে, নিশ্চুপ বটে গাইছি জয়গান,
তুমি থাকবে কত যুগ, কত না বৎসরে করবে অম্লান
হে চির যৌবনা, যৌবতী.........