স্বাধীন বাংলা সর্বভৌমত্ব, আজ স্বাধীন বাংলার প্রাণ-
স্বাধীনতার জন্যই গাইছি বাংলা মায়ের গান।
স্বরণে স্বাধীন বাংলা ১৯৫২
যেদিন রাজপথে নেমেছিল হানাদারের দল
চালিয়েছিল গুলি, পড়েছিল লাশের স্তম্ভ
করেদিয়েছিল সমগ্র, হাহাকারে অরণ্য।

দিতে হয়েছিল তাজা রক্ত, দিতে হয়েছিল জীবন-
রফিক, শফিজ, সালাম, জব্বার, বরকত তারই মত,
নাম না জানা আরো অনেক জন।
তবু থেমে থাকেনি বাংলার মানুষ,
থেমে থাকেনি ভাষার লড়াই-


স্বরণে স্বাধীন বাংলা ১৯৭১
যেদিন, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরীহ বাঙ্গালীর উপর-
মেরেপুরে ছাড়খাড়
করে দিয়েছিল সমগ্র মহামাড়িতে রৌদ্রোর,
তাদের হাতেছিল মরনাস্ত্র, ছিল মেশিনগান-
একের পর এক হত্যা করল ভাব্যিক, কাব্যিক
আর দেশের সেরা বুদ্ধীমান।


অন্যায়ভাবে খুনাখুনি, ধর্ষণ, চুরি, লুটপাট
করতে লাগল পাক
এসব দেখে তখন দিয়েছিল, শেখ মুজীবুরে ডাক।
করেছিল হুংকার, সমাবেত জণসমুদ্রের মাতুয়ার-
জোগিয়েছিল সাহস, দিয়েছিল নেতৃত্ব
জন্যে তোমার ও আমার।
তবু থেমে থাকেনি বাংলার মানুষ
থেমে থাকেনি স্বাধীনতার লড়াই।


মরনাস্ত্র নিয়ে পাকেরা, এদেশে করল মানুষ মারার চাষ-
একে একে এদেশে পড়ে ৩০ লক্ষ লাশ।
এক পর্যায়ে দেশের মানুষ, দেশ রক্ষায় হল একত্র
চারিদিকে ছড়িয়ে গেল, বাঙ্গালী রনক্ষেত্র।
লাশের পর লাশ পড়লেও তারা ছাড়ল নাত হাল-
সর্বশেষে
১৬ই ডিসেম্বরে পাক সেনারা হইল যে বেহাল।
প্রমাণ করেছিল দেশপ্রেম তাহাকেই বলে
যে দেশকে ভালবাসে-
দেশের জন্য বাঁচতে পারে আবার হাসতে হাসতে মরে।


দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়িতে যুদ্ধ হল শেষ
অবশেষে বিশ্বের মাঝে স্থান পেল মানচিত্র
স্বাধীন হল, সোনার বাংলাদেশ।
ভুলবনা তাদের, যারা স্বাধীনতার জন্য দিয়েছিল
রক্তঝরা অমূল্য সেই প্রাণ-
চিরদিন স্বরণে রাখবো, আমরা বাংলা মায়ের সন্তান।


---------------------------
মনের মাধূরী দিয়ে লেখার শ্রেষ্ঠ প্রয়াসে আমার ২ বছরের সাধনায় সমাপ্তি এই কবিতাখানি (২০১৩-১৫)
শুভ বিজয় দিবস - ২০১৬
সবার শুভ কামনায়,নতুন প্রত্যয়ের খুজে আজ আমরা..
স্বরণ করছি লাখো মহীদ,বীর মুক্তিযুদ্ধাদের । যাদের জন্য আজ পেয়েছি সোনার বাংলা।
এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনল যারা,আমরা তুমাদের ভুলব না,
হ্যাঁ, আমরা তুমাদের ভুলব না।