ধরণীর বুকে রহিয়াছে অরণ্য, যেন তাহার মাঝে তুমি-
আমি নিছক লোভি ঠিক তেমনি, হারিয়াছি হে রমণী
অন্ধকার রাতে আশা তিতিক্ষার প্রহর পেরিয়ে আজ
এসেছি সামনে, দেখেছি আর অনুভব করেছি
বিলুপ্ত হয়েছে তোমার মন-প্রাণ, অর্পণে অন্যের জন্যে।

সামন কে সামনে ভাবিয়া, করেছিলাম তোমায় বিশ্বাস
আজ কেন? এই পরিস্থতিতে ফেলিলে আমায়!
তিলেতিলে ঘড়া হৃদয় ভান্ডার দিয়া আমার এ আশ্বাস।
কখনো ভাবিনি হারিয়ে যাবে, থেকে এ হৃদয় ভান্ডারে
কত না খুজিয়া কত না ঘুরিয়া পাইয়াছিলাম তোমায়
দীব্য জ্ঞানের, দিশারীর মত আলো কিংবা আঁধারে।
মনের মণিকোঠার ফ্রেমে বাঁধিয়া রেখেছিলাম তোমায়
মায়াবি চোখের চাহনি আর মিথ্যে ছলনায়-
              শুধু কাঁদিয়েছ এ আমায়।


অনেক কেঁদেছি , এখন আর চোখে কান্নাও আসে না-
আবেগ মরেছে, ভালবাসা মরেছে কেন জানি
                       মন বুঝে না।
প্রতিকূলের নৌকা আমার যেন অনুকূলের নয়-
সবই ছারিয়াছি আমি তবু, চাইনা হইতে বিফল।  
বিধাতার অপূর্ব ফাঁদে পরিয়াছি আমি আজ-
আজও আমি বুঝিনি হে রমণী, তোমার রঙ্গের সাজ।
গগনে গন ভরসায় যেন কোয়াশা ডুবে না-
ঠিক তেমনি আমি সবি ভুলিলেও
তোমায় ভুলব না।