সবে মাত্র ১০ পরোলো, আর ১১ তে পদার্পন
নিজে বুঝা ত দুরের কথা, ছিল অবুঝ এক মন।
নিত্যদিন চলছিল নিতিনিত্যে হচ্ছিল না অতিত
আজ শুধু তার অস্তিত্ব বিরাজ করে, সর্বাঙ্গে সর্ব দিক|
শান্ত কোনটাসা মনোরম মায়ার বাধন
তৈরি করে যেন আপন মনে বড় সে হচ্ছিল
দিক বেদিক ভুলে সবে-মায়ের কোলটা পেড়োলো|
সদিন পহেলা মাসের ১১ তারিখে ছিল
যেদিন সমগ্র এলাকাটা ,মর্মাহতে স্তব্দ হল
মানে , একটি কচি খোকার আর্তনাদময় মৃত্যু|

প্যারেটের ভয়ে দু-তলা কর্ণ ঘেসিয়ে
প্রাইমারির সরু বিল্ডিংটা যখন টপকালো সে
স্তম্ভিত হল সমগ্র এলাকাবাসী
রক্তে রঞ্জিত হল নিশ্চুপ পথ
পুরো স্কুলটাই হয়েছিল অপলক চোখে শান্তহীন স্তব্দ।
ছিল না আত্মহত্যা অথবা স্নায়ুতন্ত্রময় আত্মচাপ
অকাতরে তরতর করেছিল সৈখিন একটি প্রাণ
চির প্রথার ন্যায় বিলীন হচ্ছিল পৃথীবি থেকে
থাকতে প্রভাতময় পর্যাপ্ত সময় অঘাত ।
হয়েছিল কথা প্রাচুর্যময় মহলের বিভিন্ন প্রথা
জ্ঞানে অজ্ঞান হয়েছিল পরিবারের সমগ্র
জাতিতে আমরা খুবই নিরীহ প্রজাতি
বাস্তুহারার মতই অজ্ঞাত।


রচনাকাল: ১১/০১/২০১৭ ইং।
কারণ:   গত ১১ তারিখে আমার শৈশব কাটানো স্কুলের ৬ষ্ট শ্রেণী পড়ুয়া ও সবে ৫ নাম্বার ক্লাস করতে যাওয়া ছেলে আরমান, স্কুলের ২ তলা থেকে পড়ে আকস্মিক মৃত্যুতে, খুব কষ্টে, একান্ত চিন্তা- চেতনায় লেখা।