একটা মেঘ ঝলসানো রাতে বাতাসের হুড়োহুড়ি
জানালার কাচগুলো অসহায় ভাবে বিসর্জিত হয় ;
চুরমার হয়ে যায় ফ্লোরের উপর।
দাড়োয়ান ক্ষণকাল ব্যাপি ভোগে হাপিত্যেশে,
এরপর শায়িত হয় নিদ্রাহীন নিদ্রায়।


জানালার ফাঁক গলে বৃষ্টির ফোটা
বাতাসের তাড়নায় যেন সুচের আচড় কাটে।
তারপরেও ঘুম হয় জীবনের শেষে এসে
একটা বিষন্নতা ঘাপটি দিয়ে যায় হৃদয় অতলে,
শৈশবের সকালের না ঘুমুতে পারার ক্ষোভ।


তারপরেও  অবশ হয়ে যাওয়া দেহে
মুয়াজ্জিনের আজান কর্ণে সংকেত দেয়,
বালিশটা একটু জোরে খামচে ধরে কাঁথা টেনে
হঠাৎ উঠে বসে,ডাকে তার ছোট্ট শিশুটিকে।
সকাল বেলা ঘুমোতে নেই;বলতে বলতে ঢলে পড়ে কাঁথার গহীনে।


বৃষ্টির মোহ অজস্র ঘুম নিয়ে হাজির হয় আমাদের চোঁখে
শুধু শৈশবের সেই দিনগুলো
যখন আধবোজা চোখে স্কুল ধরতাম
তখন ঘুমই ছিলো প্রেমিকা,
প্রেমিকাই ছিলো ঘুম
তার রিমঝিম গান
কি মধুর!
আহ!!
কি মধুর!!!


৯ জ্যেষ্ঠ ১৪২৬