কলকাতা পেরিয়ে দিল্লি না মুম্বাই?
জানেই না ঠিক — শুধু টিকিটটাই সাই।
হোটেলে কাজ? না মিস্ত্রি হবে?
জানতেও চায় না, শুধু পেট যেন ভরে।
পেছনে ফেলে এসেছে কাঁসাই মাঠ,
বটগাছতলা আর বিকেলের ঘাট।
মেলা, বৈশাখ, একচালা ঘর,
সব রয়ে গেলো ধুলোমাখা দর।
ট্রেনের জানালা ধরে চেয়ে রয়,
শব্দে শব্দে বুকটা কাঁপে সয়।
চেনা কণ্ঠ, চেনা গন্ধ, মাঠের গান,
স্মৃতির হাওয়ায় কাঁপে রেলপথের প্রাণ।
রুটি-রুজির এই যে টান,
তাতেই তো গাঁয়ের ছেলে হয় শহুরে প্রাণ।
মুখে না বলুক, বুকের গভীরে—
বাংলা ফেরে তার স্বপ্নের ভিতরে।