পলাশীর মাঠে রোদ ঝরেছে, কাঁদে রক্তভেজা ধান,
হারিয়েছি স্বাধীনতা—ছিল না কোথাও প্রাণ।
নবাব সিরাজ চেয়েছিলো, রাখবে দেশের মান,
কিন্তু চারিদিকে ঘিরে ছিলো বিশ্বাসঘাতক খান।

ঘরেই আগুন, ঘরেই শত্রু, রাজপুরীর মাঝে ছল,
ঘসেটি বেগম হেসে হেসে আঁকে পতনের জল।
জগৎ শেঠ ওই ধনলোভী, দিলো ইংরেজ হাতে সাঁকো,
টাকার মায়ায় বিক্রি করল বাংলা, নিজের পাঁকো।

চক্রান্তে ছিলো চতুর গঠ, মুখে মিষ্টি, বুকে ঘাত,
মীরজাফরের বুকে ছিলো সিংহাসনের মাত।
সেনাপতি হয়ে দাঁড়াল পাশে, তবু চালাল না ঢাল,
আর জগৎ শেঠ? সে তো শুধু ধননেশায় কাল।

ইস্ট ইন্ডিয়ার চিঠির নিচে ছিল এক গোপন দল,
"বাংলা হবে ইংরেজি খেলা—চুপ থাকো, খাও জল!"
সিরাজ বোঝেনি প্রথমে, কাকে নেবে আপন,
শেষ মুহূর্তে বুঝল সে—চারদিকেই ধোঁকাবাজ জন।

পলাশীর মাটি জানে আজও কাদের ছিল দোষ,
বাইরের নয়, ভেতরের ক্ষত করল হৃদয় রোষ।
স্বাধীনতার সূর্য অস্ত যায়, ব্যথা থাকে ঘরে,
বিশ্বাসঘাতক এ দেশেরই ছিল—বোঝা গেল
চেনা চেহারায় ‘পরে!



খুবই গুরুত্বপূর্ণ কষ্টকর বিষয় হল যদি ওই ভুল না হতো, হয়তো বা আজকের দিনে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, ও মুর্শিদাবাদ জেলার লাখো যুবকে পরিযায়ী শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ হিসেবে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হত না।