গ্রিলের সাথে আপরাজিতার ডালে
ঝুলে  আছে অসংখ্য পাতা।
আমিও বারান্দায় বসে একা,
বাঁকিয়ে আমার শরীর
ইজি চেয়ারে বসে,
পড়ে চলেছিলাম রসে
এক রমণীর গল্প।
হয়ত সাথে ঘুমও ছিল অল্প।


হঠাৎ কোনো এক এলোকেশি,
ঝরিয়ে জলের রাশি
ভাংলো আমার আয়েস।
বললাম, করেছিসতো বেশ।
অনেক দিন হয়নি দেখা
বর্ষণ জলের মনোরমা রেখা।
আজ এই গোধুলিতে,
বর্ষণ মূখর অনভুতিতে
কেটে যাবে ক্ষণ,
উদ্বেলিত হবে মন।
তারপর সারা রাত ধরে
চলবে হৃদয় বাসরে
সেই এলোকেশির আনাগোনা,
অতঃপর হবে জানা শোনা।


হঠাৎ ডাক দিয়ে সেই এলোকেশি
বললো, আমি যে এসে গেছি।
গোধুলি ঘুরে নিশিথ
হৃদয়ে তৈরী হলো প্রণয় ভিত।
বললাম, কাছে এস।
বললো সে হেসে, তুমি বস।
একটু আসি ঘুরে,
ঐ বন বাদাড়ের দূরে।
বললাম, কেবল আমাতে নিবিষ্ট কর মন,
কেননা আমি যে আছি উন্মন।
কেবল তুমি যে আসবে বলে
আমিত সব কিছু ভুলে,
তোমাকে দেখার কঠিন আশে
আমার সবটুকু প্রয়াসে
চাই যে কেবল তোমাকে,
নয় অন্য কোনো অনুপমাকে।


বৃষ্টি জলের রাশি
গালে নিয়ে যুবতীর হাসি,
বললো- কত যে উতলা তোমার মন।
বলতো, কেন যে এত উন্মন।
বললাম, তোমাকে দেখার রাগে
আমার কুসুম-হৃদয় বাগে
এখন যে শিহরণ।
বললো সে হেসে, এ যে মরণ!
দেখি তোমার সব শিহরণ
এখন আমার বিন্দু রেখায়
হয়েছে যে সমর্পণ প্রায়।


বললাম, হে বর্ষা রাণী
কত বন, কত অরণ্যানি
এসছে পেরিয়ে তুমি
আর আমি যে, এই আমি
তোমাকে দেখার মানষে
কত বিপ্রতীপ বাতাসে
কাটিয়েছি ক্ষণ
আর রয়েছি যে আনমন।


বললো সে সর্বনাশী,
কত বন, কত বনানী গ্রাসি
এখন এই অপরাজিতার ডালে
বিন্দু বিন্দু জলে
আমিতো তোমাতে হয়েছি বিলিন,
তারপর তোমার কত যে রংগিন
স্বপ্নগুলোকে আমি ছুঁয়েছি এখন
অতঃপর ছুঁয়েছি তোমার মন।


বললাম-একি এক প্রহরের প্রণয়,
নাকি এ তোমার অভিনয়।
অপরাজিতার ডালে
এসেছ নেমে ছলে,
তাই বলে কি যাবে চলে?
বললো সে হেসে, প্রিয় আমার
তবু যে একবার
খুলে তোমার হৃদয়ের দ্বার
বলতে হবে তোমায় বিদায়।
বললাম-সে কি মোর প্রাণে সয়।


তবু সে গেল দূরে,
আমিও বললাম আলবেদা তারে।