ঘটনাচক্রে তোমাকে অমার মনে পড়ে,
হয়ত না পড়লেই ভাল হত।
রাতের গাঢ় প্রহর,
সকালের ম্যাজমেজে শরীর
কিংবা দুপুরের ক্লান্তিকর টেবিলে
তোমার ঘটনাগুলো যেন ঘটনাচক্রেই চলে আসে আমার কাছে।
উল্লেখ্য নয়,
এমন অনুল্লিখিত তোমার কথামালার রেশও
গদ্য কবিতার সহজ পংক্তিমালা হয়ে ঘটনাক্রমে চলে আসে
আমার কাছে কখনও সখনও।
যেমন চলে আসে তোমার মুখের প্রতিচ্ছবি
কোন শার্সির ভুতুড়ে আলোচ্ছায়ায়।


জলের ফোঁটা ফোঁটা বিন্দু গড়িয়ে যায় অবলিলায়,
তাদের আমি বলেছি কারো পায়ের ছন্দের অনুকরণ তোমরা কোরনা।
নিম শাখার পাতায় বাতাস দুলে যায়,
তাকে আমি বলেছি কারো চুলের মত করে পাতাদের তুমি দোলাবেনা।
কেউ আমার কথা শুনলেত?
ঘটনাচক্রে তারা তা-ই করে,
আর আমার হয়েছে জ্বালা এদেরকে তাড়িয়ে দেবার
কৌশল নির্ণয়ের যুদ্ধে লিপ্ত থাকবার।


ঘটনাচক্রেই অমার মনের রাজ্যে
আমি এখন পরবাসী।
যখন আমি এসব ঘটনাকে ধরতে যাই,
তখন অধরা পাড় শয়তানের মত
এরা দূরে সরে যায়।
কখনো আবার ঘটনাচক্রেই তুমি বসে পড় আমার সামনা সামনি
টেবিলের অপর পাড়ে ‘লা বাম্বা’ কিংবা ‘কাবাব ফ্যাক্টরি’ রেষ্টুরেন্টে।
পেঁচার মিটমিটে চোখে তোমাকে চেনার চেষ্টা করি,
সেই তুমি কিনা?
যখন বুঝে উঠতে পারি
ঘটনাচক্রে সেই তুমি এই তুমি নও,
পাথারে ভাসি, সাঁতারে ডুব খাই
অতঃপর নতুন করে সম্বিৎ ফিরে পাই।


রাস্তার নিয়নের নিচে দাঁড়াই,
দেখি তুমি হেঁটে হেঁটে চলেছ রাস্তা পার হয়ে।
ট্র্যাফিকের নেইত কোন কাজ তোমাকে থামাবার!
প্রাণপন দৌড়ে যেতেই তুমি আর নেই।
এসব আমার হয়েছে কী?
ঘটনাচক্রে এসব কিসের আলামত?


বিশুদ্ধ প্রেম-১২