কাঁচের দেয়াল,
স্বচ্ছ স্ফটিকের ন্যায় আছে দাঁড়িয়ে।
পারদের সমতল আয়নায় সব কিছু মনে হয় রংগিন।
জরাগ্রস্থ জনপদ, জনতার ক্ষুধার্ত উদর, মেয়েদের উলংগ আব্রু-
সব কিছুই কাঁচের দেয়ালে প্রতিবিম্বিত হয়
মন মাতানো ঢংগে।


ভোগীদের কাঁচের দেয়াল,
ত্যাগিদের ত্যাগে হয় স্বচ্ছ সরবরের ন্যায়।
ফুটে ওঠে দেয়ালে দেয়ালে প্রশান্তি
সদ্য স্নাতা কুমারির কমনীয়তার মত।
কাঁচের দেয়ালে ফুটে ওঠে জীবন্ত সব নোটের ছবি-
পাউন্ড, ডলার, ডিকে, ইয়েন এবং আরো কত কি।
কাঁচের দেয়ালে ফুটে ওঠে সব এলিটদের চিত্র-
হিটলার, লর্ড ক্লাইভ, চেংগিস খান, কত হুশ-বেহুশওয়ালা          
এবং তাদের উত্তর সূরিদের।


কাঁচের দেয়ালে বিকৃত হয়
চে গুয়েভারের মুখ,
জোয়ানা আর্কের মুখ,
আলেন্দের মুখ,
কামাল আতা তুর্কের মুখ,
শ্যাভেজের মুখ,
ক্যাষ্ট্রোর মুখ,
জুলিয়াস এ্যাসেঞ্জের মুখ,
ক্ষুদি রামের মুখ
এবং আরো কত মুখ।


যুগে যুগে কাঁচের দেয়ালে দাপুটে সভ্যতার পট পরিবর্তীত হয়
যুবতীর যৌবন ধ্বসের মত।
গ্রীক, রোমান, বৃটিশ, পার্শি
এসব সভ্যতার মনোহারি রূপ একে একে খসে পড়েছে
কাঁচের দেয়াল হতে।


শুধু রেখে গেছে-
পর দেশ,
পর ধন,
পর নারী
লুন্ঠনের অসভ্য সব চিত্র
এই সব কাঁচের দেয়ালে।
হ-য-ব-র-ল-১০