অনেক কিছুই হয়নি লেখা।
কবিতারা মনের শিরদাঁড়ায় এসে
কখন যে নেমে গেছে নিচে
বেমালুম পাইনি টের।
একদা এক মনিষাকে নিয়ে লেখার
ছিল অনেক উজ্জীবন।
কালের সন্ধি ক্ষণে এসে দেখি
কালো পেঁচাদের মত বিভৎস চোখে
লেখারা করছে বারণ।
তারও পরে মনের সাথে হয়েছিল কথা
গল্প লেখবার।
কিরণ বালার, বালার শব্দের মত
গল্পের বাস্প জলেরা
কখন এল, কখন গেল
শেষে বালার শব্দের মতই নিয়তি হলো সব হারাবার।
এবার নাটক লেখায় স্থির হলো মন,
এখানেও ঊর্বশীর বাঁকা শরীরের মত
কথোপকথনের চাঁচালো মারপ্যাচ।
কখনও কলমের নিপ ভাঙ্গে তো,
কখনও সাবাড় হয় শব্দকোষ।
ভাবলাম তাই আনাড়ি আবেগে
বাড়িয়ে লাভ নেই জনরোষ।
এখন একদা এক দিন
জীবনের খেরো খাতা উল্টে দেখি
বহু আগেই সেখানে শুরু হয়েছে
উঁই পোকাদের আক্রমন।
কর্তণ নিপুন এই সব পোকাদের
কেটে ফেলার পরকীয়া আসক্তি
অবশেষে সেখানে তৈরী করেছে
প্রেমের বৃন্দাবন।


(সুহৃৎগন, এটি আসলে কবিতা নয়। আমার আজকে পঞ্চাশতম কবিতাতে পদার্পণ। তাই আমার লেখা-জোখার বর্তমান অবস্থাটা আপনাদের কছে কবিতার মাধ্যমে নিবেদন করলাম। আপনাদের আশীর্বাদ প্রার্থী-মোঃ মজিবুর রহমান)