এখন বেদুঈন কান্নার সরব বিপ্লব।
কমলাপুর, তালতলা, মিরপুর বেড়ি বাঁধ বস্তি থেকে উঠে এসে
বেদুঈন কান্না ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্রই।
রাত্রির প্রথম প্রহর, দ্বিতীয়, তৃতীয়, কিংবা চতুর্থ প্রহরেও
চলতে থাকে বেদুঈন কান্না এখানে ওখানে।
হরতালে পুলিশের তাজা গুলি আর ভারী বুটের নিস্পেষণে
কান্নার আহাযারিতে বাতাস কাঁদে।
ক্ষুধার কান্না দিন নেই, রাত নেই মোঘলের বেওয়ারিশ নর্তকীর
ঘুঙ্গুরের মত পেটে বাজে সর্বক্ষণ।
শ্যাওড়া গাছের ভূতের মত কান্না পায়ে পায়ে হেঁটে আসে
সন্ত্রাসীর পিস্তলের সাথে।
বেদুঈন কান্নার সখ্যতা এখন রাজনৈতিক প্রেমের সাথে।
জিহ্বার ক্ষুর দিয়ে যুবতীর থেতলে যাওয়া ধড়ের ন্যায় কান্না
ঝরানো যায় প্রতিপক্ষের চোখ থেকে অনায়েসে।
বেদুইন কান্না এখন ঘটির জল পেরিয়ে ঘড়া হয়ে পিপাতে
আশ্রয় নিলেও আরও প্রসস্থ আবাসন চায় তার।
পদ্মা মেঘনার জলের ন্যায় এখন বেদুঈন কান্নার স্রোত।
আগর বাতির ধোঁয়ার মত এঁকে বেঁকে চলে বেদুঈন কান্নার ধুম্র ধারা।
বেদুঈন কান্না এখন তাঁবু ভেঙ্গে কৃষকের গোয়াল ঘরে।
বেদুঈন কান্না এখন যুবতীর আব্রু ঢাকা শত ছিন্ন কাপড়ের তলে।
বেদুঈন কান্না এখন করনিকের বৌয়ের ভাতের থালায়।
আমরা আজকে বেদুঈন কান্নার ঘড়ার জলে গোসল করি ।
আজ আমরা বেদুঈন কান্নার জলে আবীর রঙ্গা হোলি খেলি।
বেদুঈন কান্নার পাতক পাতকী হই আমরা।
বেদুঈন কান্নার নমশূদ্র আচরণে বিব্রত হই আমরা।
আমরা টাকা লুটের কমিটি করি, অসংবিধানিক আচরণের জন্য
সংসদীয় কমিটি গঠন করি,
কমিটি করি শেয়ার মার্কেট ধ্বসের, কমিটি করি অতিথি আপ্যায়নের।
কিন্তু বেদুঈন কন্না কেন হেঁটে চলে, কেন তাঁবু ভাঙ্গে, তাঁবু গড়ে
তার কমিটি কোন দিন করিনা।
হে বেদুঈন কান্না তুমি আর হেঁটে হেঁটে চলবে কত কাল!