শব্দমালা খসে পড়ে একে একে,
শব্দমালা বিরঞ্জিত হয় নিরঞ্জনার নিপাট ওষ্ঠযুগল হতে।
অতঃপর বাক্য স্রোত নিপিড়িত হয়, বাষ্পিীয় উত্তাপে নির্বাপিত হয়,
তারপর নির্বাসিত হয় সময়ের সাপ চোরা আঁধারে।
গজানো অঙ্কুরে নেমে আসে ব্যাবচ্ছেদের শোক বিলাপ।
শব্দমালা হারিয়ে যায় জীবনের আনকোরা বধ্য ভূমিতে।
কখনও হঠাৎ চৈতী রাতে
অথবা কখনও প্রাতের নির্দয় বিলাপে
যোগ হয় হারিয়ে যাওয়া শব্দ ফসিলের আনাগোনা।
ঘর হারা ঘরাণীর মত,
কিংবা প্রান হারা পরাণীর মত
খসে পড়া শব্দরাজি
জীবনের মৃত কচড়া হয়ে ক্রন্দন শোনায়।
দিন আসে দিন যায়,
একে একে ভাঙ্গা শব্দ কফিনের উচ্চতা বাড়ে........
সব শেষে জীবনের চেরাগ উল্টে নিভে যায় তারা আঁধারের গা জুড়ে।


হ-য-ব-র-ল-২৭