কিংবা সেই মনিষাকেই
এখন মনে হয় আমার
এক কর্পুর বাটি,
যেখান থেকে কর্পুর ক্ষয় হয়ে হয়ে  
কেবলি উবে যায়
অথচ তাকে না যায় দেখা, না যায় ধরা।


এমনই চিত্তহারিনী
সেই মনিষা,
যাকে মানষপটে ধরতে গিয়ে
নীরেট পাথরের চৌচির বেদনায় ফাটে বুক,
কলমের কালির প্রবাহেও নেমে আসে
বুক ফাটা ছোপ ছোপ রক্তের দাগ।
আর রাত্রি দ্বিপ্রহরের করারক্ষিও শোনে
লহুতে ভেজা মানব দেহের
করুণ আর্তনাদ।


মনিষাকে আমার মানষপটে
আবদ্ধ করতে গিয়ে মনে হয়েছে-
কাছে এসে ভাল লাগা
আর ভাল লেগে কাছে আসা
যেমন একই বিষয়ে শব্দের শঠতা মাত্র,
কিংবা ভূলে ভরা যৌবন
আর যৌবন ভরা ভুল,
তেমন একই বিষয়ে শব্দের ছলচাতুরী ছাড়া অন্য কিছু নয়।
মনিষাকে আরো ভাবতে গিয়ে
মনে হয়েছে আমার-
রাত্রি শেষে শিশিরের কান্না
আর কান্না শেষে শিশিরের আবির্ভাব,
পালা শেষে নতুন পালা বদলের মঞ্চায়ন মাত্র।
মানষপটে তাকে এঁকে এঁকে
আমি যখন হই ম্রিয়মান,
তখন পালা বদলের ধারাবাহিকতায়
তার উষ্ণতা অনুভব হতে হতে
কেবলি হারিয়ে যায় অবিরত।


বিষুভিয়াস ঘুমোয়নি সারা রাত,
ঘুমোয়নি কারণ আবক্ষ দহন বেদনায়
ওর তপ্ত লাভা উদ্গিরণ হতে হতে
ওকে এনে দিয়েছ প্রশান্তিরর কৈরব,
ঠিক যেমন প্রশান্তি এনে দেয় জননীকে
জরায়ু ভেদ করে আসা
পুত্রের প্রথম মুখ-দর্শণ।
                         চলবে........