মনিষাদের চিত্রকারিনী রূপ
লৌহকরের হাঁপরের আগুনে জ্বলে জ্বলে
কেবলি জ্বালায়,
শরতের ঘাস ফুল
আর মানব হৃদয়ের সৌরভকে করে ভস্মীভূত।


রাত্রির ঘুমন্ত বাসরে
ভোরের সূর্য ঘটায় ব্যাঘাত,
মেঘের ঘোমটার নিচে
মুখ লুকায় রূপোলি চাঁদের আলো,
মনের সার্ষিতে লেখা যে আখর
সময়ের কষাঘাতে মুছে যায় তা বার বার।
আজ যে আঁচল উন্মোচিত হয়
কারো মুখ ঢেকে রাখার,
কাল বৈশাখীর উল্টো বাতাসে
ক্ষনিক বাদে বিমোচন হয় তার।
নদী তটের যে জলরাশি ছুটে চলে কূল ঘেঁষে
ক্ষনিক বাদে স্রোত হয়ে কূল ভেংঙ্গে
কাঁদায় সে নদীকে,
শরতের উলুবন আলিঙ্গন করে যায় যে সমীরণ
চৈত্রের দাবাদহে সে ফিরে আসে উন্মাদিনী হয়ে।


মনিষা, সেই মনিষা আমার।
কাঁচ কাটা হিরে হতে হতে
সে হয়ে গেছে সর্ব ছেদ কারিণী,
আর আমার মানষপটের সব বোধশক্তিকে
চিরে চিরে চির সমাহিত করেছে নির্দ্বিধায়।


অশান্ত সাগরের সব কান্না
আছড়ে পড়ে বালু তটে,
ছিন্ন  হৃদয়ের সব আবেগ
পরিগ্রহ হয় কান্নার জলে।
চোরবালি সব কিছু গলধকরণ করে
মানব সন্তানকে গর্ভে পুরে,
চাঁদের রূপোলি আলোর অন্তর্ধাণে
তারাদের ক্ষুদ্ধ বেদনা মুষড়ে পড়ে অন্তরিক্ষে।
দিবালোকের সব আলো
রাত্রির কালো আঁধারে করে রোদন।


অসীম কাঁদে সীমনায় ফেরার
করুণ বেদনায়,
আর নারংগী বনের বাতাস কাঁদে
বিরহী বনকে ছেড়ে যাবার প্রলয় প্রেমানলে।


                               চলবে..........