মনিষা, সোহাগী মনিষা আমার
বধু বেশে এস তুমি।
তোমার সে আসা যেন না হয়
দুধকুমার আর কীর্তণ খোলার
স্বচ্ছ পানিতে ভেসে আসা ম্লেচ্ছ পদার্থের ন্যায়।
লক্ষি আমার,
আসবেই যদি স্বলজ্জ অবগুন্ঠনে এস।
দুর্বাকে বলে দেব
তোমার  আসার পথে
সবুজ কার্পেট পেতে দিতে।
যমুনা ব্রীজের ল্যাম্প পোষ্টকে বলে দেব
তোমার আমার
বাসর রাত্রির মরিচা বাতি জ্বালাতে।
টাংগুয়ার হাওড়কে বলে দেব
পাখীর কলকাকলী এনে দিতে।
                                      
দৌলতিয়া ঘাটের রাস্তাকে বলে দেব
বাবলা গাছের তোরণ সাজাতে।
আর মাধব কুন্ডের ঝর্নাকে বলে দিব
তোমার আমার সোহাগ রাত্রির
স্নানের জল ধরে রাখতে ।


কি বললে, পোড়াবাড়ীর মিষ্টি ?
তোমার মুখের চেয়েও
মিষ্টি  সেত নয়।
তবু বাসর রাত্রির মধু চন্দ্রিমায়
জমে জমে সব মধু
যখন শেষ হয়েও হবে না শেষ,
তখন পোড়াবাড়ীর মিষ্টি
আমাদের জমানো মধুকে
করে দেবে গাঢ়,
আর তোমার আমার রসাস্বদনের মিষ্টতাকে  
কোরে তুলবে অসীম প্রগাঢ়।
ঠিক সেই রাতে, সেই বিলাসী রাতে
হবে আমাদের প্রেমের প্রথম পাঠ।
তোমাকে আবিষ্করের মহৌৎসবে
হবে আমার বলিদান।
বিষুভিয়াসের গলিত লাভার
অন্য সংস্করণ হতেও আমি তখন
হয়ে যাব সম্পূর্ণ প্রস্তুত।