বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু
(সহমর্মিতার সংবেদন)


ওরা চায় নির্মল নিখাদ স্বচ্ছ ভালোবাসা,
এতে তারা খুঁজে পায় নবতর আশা ভরসা।
ওরা চায় মিষ্টি মধুর অমায়িক ভাল ব্যবহার,
এতে তারা ফিরে পায় জীবনের মণিহার।
ওরা চায় সুমিষ্ট হাসি নরম হাতের ছোঁয়া,
তারা পুলক মনে ভাবে এটা পরম পাওয়া।
ওরা চায় একটু আদর মায়াবী মনোভাব,
এতে তাদের মনে প্রভাবিত হয় সু-স্বভাব।
ওরা চায় নির্ভরতা সহায়তার প্রসারিত হাত,
ওদের চিত্তে জেগে উঠে আলোকিত প্রভাত।
ওরাও চায় সকলের মতো স্বাভাবিক চলতে,
ওরাও চায় মনের কথাগুলো সবাইকে বলতে।
প্রেরণায় এগিয়ে যেতে চায় সুজীবন গড়তে,
চায় ঘুরে ঘুরে মনের মতো বিশ্বটাকে ধরতে।
নিজের ইচ্ছা সহজে প্রকাশ করতে পারে না,
অপরের সাহায্য ছাড়া কোথাও যেতে চায় না।
অনাদর অবহেলা অমমত্ব মোটেও পছন্দ নয়,
প্রেমময় বন্ধুত্বই তাদের কাছে হয় আলোময়।
দৈহিক মানষিক বিকাশে দায় থাকা দরকার,
ওরা বোঝা নয় সম্পদ সমাজের অলংকার।
নিয়তিই তাদের দিয়েছে চলার সীমাবদ্ধতা,
উপযুক্ত শিক্ষাই এনে দিতে পারে গতিময়তা।
হিংসা ঘৃণা যেন তাদের প্রতি কারো না পড়ে,
সহানুভূতি সহনশীলতা যেন তারা পেতে পারে।
ওদের পিতা মাতা ভাই বোন হোক আপনজন,
আশে পাশের প্রতিবেশীরা হোক অনুপম সুজন।
সবখানে প্রতিষ্ঠিত হোক তাদের প্রাপ্ত অধিকার,
উম্মুক্ত মননে ভোগ করুক তারা সব স্বাধীকার।
তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা সকলের দায়িত্ব,
স্বাভাবিক জীবন যাপনে তৈরী হয় সৌভ্রাতৃত্ব।
যদিও তারা প্রতিবন্ধী কিন্তু কেউ কেউ প্রতিভাধর,
তারাও হতে পারে এ সমাজের উজ্জ্বল দিবাকর।
সেই প্রতিভায় তারা বয়ে আনে দারুণ সফলতা,
সফলতায় ফিরে আসে মন কাননে ফুলের শুভ্রতা।
ধরার মাঝে সবার কাছে ওরা হোক আলোক নিশু,
ওরাই হলো আমাদের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু।


৩১.০৭.২০২২,
কল্যাণপুর, ঢাকা।