মহীয়সী নারী ড. আফিয়া সিদ্দিকী


তোমার অপরাধ! তুমি মুসলিম,
তুমি কুরআনের হাফেজা, তুমি স্নায়ু
বিজ্ঞানী, তুমি পি এইচ ডি গবেষক,
তুমি কথায়, কাজে ও গবেষণায়,
কুরআনের রেফারেন্স নিয়ে আসো।
শরয়ী বিধান পরিপূর্ণ মেনে চলো,
ইসলামকে গভীর প্রাণে ভালোবাসো।
তারা তোমার আদর্শে পরাজিত হয়ে,
তোমাকে আলকায়েদার তকমা লাগিয়ে,
তারা তোমাকে কিডন্যাপ করে জেলে
পুরিয়ে রাখলো, আর সকল অধিকার
কেড়ে নিলো। কলিজার টুকরো সন্তান
এবং পরিবার পরিজন থেকে আলাদা করে
ফেলল। শুধু জেলে পুরিয়ে তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি,
তোমার শরীর থেকে মূল্যবান অঙ্গ সরিয়ে
ফেলল। তোমাকে তারা আতঙ্ক মনে করে-
তোমাকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করলো।
তাবেদারি কারাগার থেকে নির্মমতায় নিয়ে গেল
কর্তৃত্ববাদী কারাগারে। চালালো নির্মম নির্যাতন!
বিভীষিকাময়, অসহনীয় যন্ত্রনা ও কষ্ট দিলো!
যা অবর্ণনীয়। চালালো মানসিক নির্যাতন ও
রেফ নামক পাশবিতা। কুরআনের পাতা ছিঁড়ে
তোমাকে উলঙ্গ করে বলা হতো- “যাও কাপড়
নিয়ে আসো, তার উপর দিয়ে।” অথচ তুমি তা
করতে পারতে না। কারণ, তুমি একজন প্র্যাক্টিসিং
মুসলিম। এবং কাঙ্খিত ঈমানের উপর দন্ডায়মান!!
তোমার ব্যাপারে মানবতার ফেরিওয়ালারা ছিল
একেবারেই নীরব! এমনকি মুসলিম নামধারীরাও!
আবার ওরা নাকি মানবতার বুলি আওড়ায় বিশ্বময়!!
ধিক! শত ধিক! তাদের সেই বিবেকের?
যে বিবেক মুসলিমদের উপর ষ্টিমরোলার চালায়?
দিল সন্দেহজনক অপরাধে ছিয়াশি বছর জেল!
আদালতের জিজ্ঞাসায় তুমি বলেছিলে-


“আপনি তাদের ক্ষমতা
        দিয়েছেন আমাকে
রেফ করার ও উলংগ করে
        সার্চ করার।
আপনার কাছে কিছুই
       বলার নেই আমার,
আমি আমার আল্লাহর
        কাছে যেয়ে বলব
যা বলার। আমি তো সেদিনই
        মরে গেছি, যে দিন
আমাকে প্রথম
       ধর্ষণ করা হয়েছিলো।
আমাকে ছেড়ে দিন,
        আমাকে আমার দেশে
যেতে দিন।”


তোমার এই করুণ আর্তি তাদের অন্তরকে
বিগলিত করেনি, করেনি আত্মগ্লানী।
হায়রে মানবতার ধ্বজাধারীরা!! তোমাদের
মুখে মানবতার কথা মানায় না, না না না???
তোমার জন্য সজল চোখ করে ছলছল!!
তোমার ত্যাগে বোধোদয় হোক বিবেকের!
মহান রাব্বেকারীম সূরা বুরুজে বলেছেন-
“তাদের আর কোনো অপরাধ ছিলো না-
তারা প্রশংসিত পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি
(মজবুত) ঈমান এনেছিলো এটা ছাড়া।”


কল্যাণপুর, ঢাকা।
০৭-০৯-২০২২
      
তথ্যসূত্র: সোস্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন প্রবন্ধ,
          উইকিফিডিয়া, দৈনিক পত্রিকা।