গড়াই নদীর তীরে


গিয়েছিলাম কুমারখালীর গড়াই নদীর তীরে,
দেখতে পেলাম সবাই খুশি ভালোবাসার ভীড়ে।
আরো দেখলাম গেদেরুন্নেছা বালিকা এতিমখানা
যে কেউই যেতে পারে তার নেই কোনো মানা।
ছোট্ট সোণামণিরা সেখানেতে পড়ে আর শেখে,
অন্যরাও অনুপ্রাণীত হয় তাদের কার্যক্রম দেখে।
তাদের আতিথিয়তা চমৎকার স্মরণ রাখার মতো,
যোগান দিলো জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার আছে যতো।
আরো আছে বাচ্চাদের জন্য খুব সুন্দর দোতলা খাট
ক্যাম্পাস জুড়ে গাছগাছালী আরো আছে খেলার মাঠ।
যতদিন ছিলাম মুগ্ধ হলাম আন্তরিক আয়োজনে,
তৃপ্ত হলাম কোমল ব্যবহার আর সুন্দর আচরণে।
ঢাকা থেকে কবি গেলেন দেখতে এলেন সেখানকার কবি,
গড়া হলো আঁকা হলো প্রেমেরই ঝলকিত মোহনীয় ছবি।
সঙ্গে ছিলো বাংলা কবিতার ভারত থেকে কবি বন্ধুরা,
এক সাথে ছিলো সবাই এবং ছিলো কোমলতায় ভরা।
লালন ফকির কুঠিবাড়ি আর মীর মশাররফের বাড়ি,
কাঙ্গাল হরিনারায়ণ দেখে দেখে মনটা নিলো কাড়ি।
নানান ফুলে সাজানো শিমুলিয়ার ইউটিউব ভিলেজ,
চোখ জুড়ালো মন কাড়িল একটি বিউটিফুল প্লেইস।
পদ্মাসেতু দেখতে দেখতে ফিরে এলাম ঢাকায়,
মেট্টোরেলে চড়ে কেউ মিরপুরে আমি আগারগাঁয়।
প্রকৃতির চাদরে সাজানো মনোরম শহর কুষ্টিয়া,
কোনোদিনও কিছুতেই তাকে থাকা যাবে না ভুলিয়া।


ঢাকা-
২৮.০২.২০২৪