গুম


নির্বিঘ্নে চলছে পথিক, কাজের খোঁজে
কিংবা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে বা লক্ষ্যে,
এক দুই তিন করে এভাবে কাটছে সময়।
অথবা, বাসায় অবস্থান করছে;
কোনো না কোনো কাজ করছে;
মা-বাবা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের সাথে;
নির্মল খুশীতে থাকছে খাচ্ছে।
এভাবেই অতিবাহিত হচ্ছে দিনকাল।
একদিন, হঠাৎ দেখা গেল
সাদা পোষাকধারী দুষ্ট চক্র
অজান্তেই ধরে নিয়ে গেল।
তার আর কোনো হদিসই পাওয়া গেল না!
পরিবারের লোকজন-
থানায়, প্রশাসনে নানা জায়গায় যোগাযোগ
করেও কোনো লাভ হয় না, সুরাহা হয় না!
তাদের চোখের জল শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে
ধূ ধূ বালুকারাশির মতো হয়ে গেল।
অপেক্ষায় থাকে, কবে ফিরে আসবে,
কলিজার ধন, আপনজন, প্রিয়জন?
অপেক্ষা আর শেষ হয় না।
বুকের চাপা কষ্ট নিয়ে করে দিনাতিপাত।
বেঁচে থাকার পরিবেশ ঘোর আঁধারে নিমজ্জিত।
হাসি আনন্দ তো একেবারেই বিদায় নিয়েছে।
শুকনো নেত্রে ফ্যাল ফ্যাল চেয়ে থাকছে,
এই বুঝি ফিরে এলো! এই বুঝি ফিরে এলো!!
আহ্! করুণ চিৎকার!! বুক ফাটা আর্তনাদ!!!
এই চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়!
তবুও পাষাণের হৃদয় গলে না, গলে না!!!
গুম হওয়া মানুষগুলো ফিরে আসুক-
ফিরে আসুক পরিবার গুলোতে অনন্ত সুখের ধারা।
এটাই মহান মালিক রবের কাছে পরম চাওয়া।
ওহে গুমকারী, গুম করে, করো না আর খুন,
তোমার হাতে, কেউ যেনো, না হয় আর গুম।


কল্যাণপুর, ঢাকা। ৩০.০৮.২০২২ (আজ আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে গুম হওয়া পরিবার গুলোর জন্য শুভ কামনা রইলো।)