সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী


ইসলামী স্কলার সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী,
মানবতার মুক্তির সিপাহসালার মানবিক দরদী।
বাতিলের বিরুদ্ধে গড়ে তোলেন মহাআন্দোলন,
সেই আন্দোলনে শরীক হোন ঈমানদার জনগণ।
বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলেন মুসলিমদের হৃদয়ে,
সবাই যুক্ত হয় নাজাতের আশায় আল্লাহর ভয়ে।
সহজে উপস্থাপন করেন আল্লাহর বিধান কুরআন,
দীর্ঘ তিরিশ বৎসরে লেখেন তাফহীমুল কুরআন।
জেল জুলুম নির্যাতন সব সইলেন ইসলামের জন্য,
নানা অপবাদ নিয়েও নিজেকে মনে করলেন ধন্য।
তবুও কাউকে ঘৃণা না করে ভালোবাসিলেন সতত,
মানজিলে পৌঁছাতে কাজ চালিয়ে গেলেন অবিরত।
অন্যায়ের প্রতিবাদে ফাঁসির হুকুম দিল আদালত,
অবিচল ছিলো তাতে, দীপ্তিমান ঈমানী কুওয়াত!
বলেছিলেন ‘মৃত্যুর সিদ্ধান্ত আসমানে, জমিনে নয়’,
রেহাই পেয়েছেন তিনি ইহাতে তাঁরই হয়েছে জয়।
তাঁরই চেষ্টায় গড়া আন্দোলন ইসলামী জামায়াত,
সর্বত্রই চলছে আজ অবধি সেই তাওহীদি দাওয়াত।
জ্ঞান বিস্তারে লিখেছেন শত শত ইসলামী সাহিত্য,
সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম সমস্যা সমাধানে দেখিয়েছেন পান্ডিত্য।
সমাদৃত ইসলামী গবেষকদের কাছে সুপ্রিয় উস্তাজ,
হৃদয়ের প্রেমাঞ্জলী দিয়ে সমীহ করে সম্মানীয় তাজ।
রাসূলের বংশ ধারার সাথে সংযুক্ত তাঁর বংশ ধারা,
তাঁর থেকে বয়ে চলে এ যাবৎকাল জ্ঞানের ঝর্ণাধারা।
তাঁকে জানতে ও বুঝতে হলে পড়তে হবে তাঁর বই,
মনের সাথে মন মিলিয়ে একনিষ্ঠ প্রিয়তম সাথী হই।
ইসলামী খেলাফত বিনির্মাণে তাঁর অবদান স্মরণীয়,
সব কিছু দিয়ে চেষ্টায় যুক্ত থাকি মোরাও হই বরণীয়।
দ্বীন হলো জীবনোদ্দেশ্য এটাই ছিলো তাঁর অভিপ্রায়,
শহীদী চিন্তা ত্যাগ কুরবানী ছিলো সবসময় চেতনায়।
তাগুতের বিপক্ষে কলম ধরে পড়েছিলেন রোষাণলে,
পাহাড়ের মতো অবিচল ছিলেন দুনিয়ার লাভ ভুলে।
মুসলিম উম্মাহ্ সহ আল্লাহর জন্য তাঁকে ভালোবাসি,
রহম করুন প্রভু ক্ষমা করুন আর করুন জান্নাতবাসি।


ঢাকা-
০৩.০৩.২০২৪