বাইশ বছরের যুবক নির্ঘুম রাত নাইনটিন একুশ
বিদ্রোহী কবিতা লিখে মনোজগতে পেল পরম সুখ।
বিশ্বব্যাপী চারিদিকে অন্যায় অত্যাচারে সয়লাব
ইহাতে যুবক মনের অঙ্কুরে ব্যথা করে রেখাপাত।
দ্রোহের আগুন জ্বলিয়া উঠিল লেলিহান হুতাসন
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে যুদ্ধ করিতে যোগ দিল কবি মন।
যুদ্ধ ফেরৎ বলিয়া উঠিল, 'বল বীর, চির উন্নত শির'
মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে উচ্চ করিল এই তকবীর।
বলল,'এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর রণ তূর্য'
সেই কবি আজ সবার কাছে আলোকিত অরুণ সূর্য।
উত্থান পতনের এই খেলায় কত জালিম এল গেল
জালিমকে রুখতে বিদ্রোহীর আবেদন নাহি পুরালো।
গাহিয়া চলিল কবি আর বলিল ওহে আগামী বিশ্ববাসী
'আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি।'
কবি লিখেছেন,'মহা বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত আমি সেই দিন
হব শান্ত, যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দলরোল আকাশে-
বাতাসে ধ্বনিবে না।' কবির সাথে মিলে আমরাও বলি
থামা নয় ততদিন পীড়িতের হাহাকার থামবেনা যতদিন।
বিদ্রোহী কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় বিজলী পত্রিকায়
কবিতাটি পড়ে পাঠকের মাঝে রই রই রব পড়ে যায়।
কবির প্রিয় বন্ধু মুজাফফর প্রথম শ্রোতার মর্যাদা পায়
সানন্দে উল্লেখ করেছেন তিনি নিজের স্মৃতি গাঁথায়।
দুই হাজার একুশ ডিসেম্বরে শতবর্ষে বিদ্রোহী কবিতা
কবি প্রেমিকরা মহানন্দে বর্ষ পালন করবে দিয়ে বারতা।


কল্যাণপুর, ঢাকা।
০১-০৯-২০২১