তাল গাছ

রেল লাইনের ঐ পথটি ধরে
যখন যেতাম পাঠশালাতে
পথের পাশে দেখতে পেতাম
সারি সারি তালগাছ আছে দাঁড়িয়ে।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে বই খাতা
রক্ষায় যাওয়া হয় তার তলে
চুপটি করে বসে থাকতাম
সহপাঠিরা মিলে দলে দলে।
সেই তাল গাছ মাথা উঁচু করে
দাঁড়িয়ে গগন ফুঁড়ে যেতে চায়
ঝাঁকড়া সমতুল অনেক পাতায়
বাবুই নিপুণ কারুকার্যে বাসা বুনে।
প্রবল বাতাসে শোঁ শোঁ শব্দে
বাবুইদের কিচিরমিচির শব্দে
মনোরম এক আবহ তৈরি করে
ছড়ায় ছড়ায় তাল দেখে মন ভরে।
লম্বাটে সেই তাল গাছ মনের মুকুরে
ভালোবাসা দিয়ে যায় অকাতরে
তালের শাসের স্বাদে
আজও হৃদ জাগে
পাকা তালের
সুঘ্রানেও।
তাল গাছ
পরিবেশের
ভারসাম্য রক্ষায় সাহয্য করে।
তালগাছ নিয়ে কবিতা লিখেছে
কবি নজরুল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আরও অনেক খ্যাতিমান কবি
এঁকেছে তার ভালোবাসার ছবি
তালের নায়ে চড়ে হয়েছে কবি।

০৫.০৫.২০২৪
কল্যাণপুর, ঢাকা-