মানুষ হয়ে মানুষকে কেন করো তিরষ্কার
মানুষ তো সবাই সমান, কিসের অহংকার?
তুমি ধনী তা কি হয়েছে? হাত পা তো বেশি নয়
একই রক্ত মাংসে গড়া, তবে কেন সংশয়।
ধর্ম বর্ণের কেন ভেদাভেদ? ভেবে দেখ একবার
সবাই একদিন চলে যাব ভব নদী পার।
মুচিকে তুমি ছোট ভাবো না, জুতা করে দেখে কালি
পায়ের তলা রক্ষা করে সে, লাগে না ধূলো বালি।
কৃষকে তুমি ছোট ভোবো না, জমি করে দেখে চাষ
খাদ্য যোগায় তাই তুমি ঘর বসে খাও বার মাস।
ধোপা তোমার কাপড় কাঁচে, দুই টাকা বিনিময়
তাই বলে মানুষরূপে নাই তার পরিচয়?
কুলি তোমার খাদ্য গুদামে বস্তা ঠেলে তোলে
কত কষ্টের জীবন তাদের, বুক ভাসে নয়ন জলে।
মালিরা ফুলে গাঁথে মালা, কত টুকু মূল্য তার
রাজার মেয়েকে সেই ফুল তুমি দাও উপহার।
কুমারেরা কাদা-বালি দিয়ে পাতিল তৈয়ার করে
সে পাতিলে গরিবের রান্না চলে জনম ভরে।
মেথরকে কেন ভাবো তুমি অতি নিচু স্তর
মেথর তোমার করে উপকার সারা জনম ভর।
কোটি টাকার অট্টালিকায় বাস করাই ভার
মেথর যদি মলমূত্র না করে পরিষ্কার।
সমাজেতে একা চলা যায় নাকো কভু
গরিব দুঃখী সবার দরকার সম্পদ থাকলেও তবু।
গরিবে দেখে ঘৃণা করো না ফোঁটাও মুখের হাসি
আত্ম অহংকার করো পরিহার, এসো সবারে ভলিবাসি।