আমি কান্না করিনাই, তবে কবিতাটা লিখার সময় অবিরত চোখের অশ্রু ঝড়ে ছিল।


   ময়াময় পল্লী
  মোহাম্মদ মোমিনুল হক আরাফাত


জীবন এতো নিষ্টুর কেনো?
এই জীবনে নাই মায়া নাই কোন ছায়া,
পাই না তো কোন পল্লীর মমতা,
কোথাও পাই না একটু নীরবতা,
কোথাও পাই না একটু অবকাশ।
চার দেওয়ালের মাঝে বন্ধী আমি,
দেখিনা কোন পাখ পাখালি।
জানতে বড় ইচ্ছা হয়,
সবি তো আছে আগের মতো?
শুধু বদলে গেছি আমি?
দেখিতে বড় স্বাদ জাগে
সন্ধ্যার আকশ হয়েছে রক্তিম.
ডুবু ডুবু রবি।
বিহঙ্গ ছুটছে আপন কূলায়,
মঝি ভেয়ে যাই তরী,
আপন মনে গান গেয়ে।
শিশুরা ছুটছে ডলুর পাড়ে (নদী)
আমি দেখতেছি আর হাসতেছি।
সবি কী এখনো আছে?
জনি-না জানি-না।
জীবন আমায় দিয়েছে বড় ব্যথা
নিয়েছে কেঁড়ে পল্লীর মমতা
দেখিতে দেনা আমায় শ্যামলের ছায়া।


কৃষাণর ক্লান্ত বিনের সুর
পাই না আমি শুনিতে।
কতটা বছর শুনিতে পাইনি ঝি ঝির গুঞ্জন।
জ্যোৎস্নার রাত এখনো হয় কি গো?
সন্ধ্যা তারাটি কী এখনো উঁকি দেয়?


দূর দূরান্ত থেকে আসিতেছি আমি,
হঠাৎ বর্ষার আকাশ ভিজিয়ে দিবে কি আমায়?
কি করে দিবে আমায়?
আমি তো বন্ধী জীবনের কারাগারে।
আমি মুক্তি চাই!
আমি দেখিতে চাই আবার বাংলার মাঠ প্রান্তর।


হৃদয় উজাড় করে বেসেছি মা তোমায় ভালো,
তবু কেন দেখিতে পাই না
তোমারই সবুজ ফসলের হাসি?
কেনো মা আমায় দাও এতো যন্ত্রণা?
আমি জীবন চাই না
আমি তোমায় ভালোবেসে যেতে চাই।
আমি তোমারই রূপে মুগ্ধ হয়েছি,
আমি খুঁজিতে চাই না জীবনের মানে।
তবু কেন জীবন আমায় ছাড়ল না?
জীবন আমায় হাতকরা লাগিয়ে দিল।
জীবন তো আমায় দেখিতে দেনা,
সন্ধ্যার আকাশের রবি


কতটা দিন রাতের আকাশে
স্লান করা হচ্ছে না জ্যোৎস্নায় ভিজে।
হুতম পেছার ডাক শুনে
শরীর শেউরে উঠে না আর।


ঘুঘুরা কী নাই পৃথিবীর বুকে?
ডাহুকটি কী খুঁজিতেছে চিৎকার করে?
কোন দুষ্ট যুবকের হাতে মরা পরা
তার সঙ্গীটা?
সব কি বিলপ্ত হয়ে গেছে?
কেউ কি জানো?
কোথায় লুকিয়ে আছে আমার পল্লী।
যদি জেনে থাকো ভাই!
আমায় একটু নিয়ে যাও সেথায়
তোমায় একটি ধন্যবাদ দিব,
তোমার কাছে ঋণী হবো।
৯ই চৈত্র ১৪২২ বাংলা
২২-৩-২০১৬
এলবামঃ হৃদয়ের কান্ন- ৪৩