ফুল কলিরা,
মোঃ ফরহাদ হোসেন
ফুলকলিরা কোথায় গেলো পাইনা খবর আর।
শাক পাতা সব টুকিয়ে খেয়ে দিন করিত পার।
পরনের সব ছেড়া জামা শতেক তালি দিয়ে।
বছর জোড়ে পড়তো গায়ে অনেক ছবর নিয়ে।
ঈদের দিনেও একটু খাবার থাকতো না ঐ ঘরে,
"ও ফুলকলি" খাওনা একটু বললে লাজে মরে।
জননী  তাদের মরলো দারুন অনাহারে থেকে।
সেই ছোট দিন অবুঝ তারা অশ্রু নেইতো চোখে।
বাবাও যে কই পালিয়ে গেলো শুক না সইতে পেরে,
অনাদরে ফুলকলিরা উঠলো অনেক বেড়ে।
ওদের দেখলে গাছের পাতাও লুকিয়ে কাঁদতো দুখে,
রাতের জোছনা ঘুম পাড়াতো দুহাতে জড়ায়ে বুকে।
ফুল কলিদের ঘর ছিলোনা থাকতো চাচার বাড়ি।
ওদের সাথে খুব করে সব দিতো সবাই আড়ি।
পান্তা ভাতে লবন মেখে খুব খেতো ঐ ঘরে।
দুই চোখ বেয়ে তৃপ্তি সুখের স্বপ্নে আসতো ভরে।
ঢেকির পাড়ে ধান বানিতো ফুলকলিরা দিনে।
রাত্রি বেলায় দুই চার টাকার মুড়ি আনতো কিনে।
খুব দেখিতাম দুঃখ ওদের সংসারে কেউ নাই।
মাঝে মাঝেই মনের দুঃখ বলতো শুনো ভাই।
খুব বেশি আজ পড়ছে মনে ফুলকলিদের কথা।
কেমন আছে খুজ রাখিনা বুলছি সবই যথা।
ঐই শহরে হঠাৎ যখন সব পেয়েও হয় নিরাশ।
ফুল কলিদের কথা ভেবে পাই যে মনে আশ।
ফুল কলিরা ঘুমিয়ে আছে বাশ বনের ঐ পারে।
অযতনে কবর টি যে ভাঙছে পরে পরে।
তোমরা অনেক ভালো থেকে ওপার দেশে গিয়ে।
না পাওয়া সব স্বপ্ন গুলো হাসোক সবই পিয়ে।