বেদনার জল বুকে ধরে মেয়ে,
ফিরে এসে মোর বাড়ি।
এ ছিল কপালে বিয়ে দিছে বাপে,
দেয়নি যে টাকা কড়ি।
শশুর বাড়িতে কেউযে আদরে,
বলেনা কখনো কথা।
ছোট লোক বলে গালি দেয় সদা,
আর যে সহেনা ব্যাথা।
তোর বাবা মোরে দেয়নি তো কিছু,
যা দিবে বলেছে  কবে।
যা নিয়ে আসিস  পারিস  যদি  তা,
উঠিস তবে এ  ঘরে।
আরও কত শত করে জালাতন,
বিখারী বলেছে কতো।
তোরে বিয়ে করে পাইনি কিছুই,
ব্যার্থ  হয়েছি শতো।
চোখ মুছে মুছে দুখিনী বোনটি,
কেঁদে বলে বাবা শোন।
যেতে হয় যদি ঐ ঘরে আজই,
টাকা কড়ি কিছু গুন।
ব্যথা ভরা বুকে কেঁদে ফেলে বাবা,
সম্বল মোর ঘর।
বেঁচে দাও তা পাষানেরে  ভুলে,
আমি হবো যাযাবর।
তবু তুমি মা সুখে থাকো আমি,
পথে পথে হেটে চলি।
বিখ মাগি  কাদে জুলায়ে থলিটি,
শহরের অলি গলি।
কালের আধারে ঢেকে যাবে মা,
চাওয়া পাওয়া যতো আছে।
আমার কথাটি ভেবোনা কখনো,
সুখে থাকো গো মা পাছে।
বাবা হয়ে মাগো তোমার নয়নে,
জল মুছে দিতে আমি।
সব শেষ করে তব সুখে রাজি,
হতে শত কুরবানী।
এই বলে বাবা ঘরটা বেচিলো,
দিলো মেয়েটারে সব।
বিখারী বানিয়ে লোভীদের আজ,
থেমে গেছে কলরব।
বাবা আজ আর চলতে পারেনা,
চোখে নেই বেশি আলো।
কানপেতে থাকে অধীর আশাতে,
মেয়েটা আছেনি ভালো।